চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে আজ রাত ১২টায় মামলা

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-28 10:01:54

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেছেন, চুরি হওয়া রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১২টা নিউইয়র্কের কোর্টে মামলা হচ্ছে। রিজার্ভ চুরিতে যে পক্ষই লাভবান হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

তিনি আরো বলেন , আগামী সপ্তাহে আরও  একটি মামলা করা হবে।

বুধবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে তিনি এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান ।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বোর্ড বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট(বিএফআই্ইউ) নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি ব্যাংকের জরুরি বোর্ড সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

বিএফআইইউ সূত্র জানায়, রিজার্ভের অর্থ ফেরত আনতে মামলার জন্য গত রোববার রাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছে। বিএফআই্ইউর প্রধান আবু হেলা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, টাকা উদ্ধারের সব সময় সামনে। আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক এমন ঘটনায় মামলা করতে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় পাওয়া যায়। মামলা রুপরেখা চূড়ান্ত, নানাদিক চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এগিয়ে যেতে হয়েছে। কোন ধরনের তাড়াহুড়া করা হয়নি ।

এদিকে গভর্নর বলেন, ব্যাংক কোম্পানি আইন পরিবর্তন করা হলে  ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপি ঋণের হার কমে যাবে ।

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আগামী ছয় মাসের জন্য মুদ্রা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভের অর্থ চুরির দুই বছর পার হলেও বেশির ভাগ অর্থ আদায় এবং এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে না পারা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। ২০১৬ সালের ৪ ফ্রেবায়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে (নিউইয়র্ক ফেড) রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাব থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ও ফিলিপাইনে যাওয়া ১ কোটি ৪৫ লাখ ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয় কয়েক মাসের মধ্যেই। বাকি ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার ফেরত পাওয়া এখনো অনিশ্চিত। এদিকে রিজার্ভের চুরি হওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া প্রসঙ্গে ফিলিপাইনের ব্যাংক আরসিবিসি ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশকে কোনো অর্থ ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের নেই। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়িত্ব অস্বীকার করে তারা বলেছে, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের অবহেলা ও অসাবধানতার’ দায় বাংলাদেশকেই নিতে হবে। চুরি হওয়া অর্থ ফিলিপাইন থেকে অন্য দেশে পাচার হয়ে গেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর