চীনের রাষ্ট্রদূত গত এপ্রিলে বাংলাদেশ থেকে তাজা আম আমদানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এর তিন মাসের মধ্যেই বাংলাদেশ থেকে তাজা আম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে চীন।
সোমবার (২৯ জুলাই) বাংলাদেশে অবস্থিত চীনের দূতাবাস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, শনিবার চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমস এ ঘোষণা দিয়েছে।
সোমবার ঢাকায় চীনা দূতাবাস জানায়, এই ঘোষণাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের ফলাফল বাস্তবায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি বাংলাদেশি উচ্চমানের আমের জন্য একটি বিশাল চীনা ভোক্তা বাজার সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের রপ্তানি বহুমুখীকরণ লক্ষ্য অর্জনেও সহায়তা করবে।
দূতাবাস বলেছে, এটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতার পারস্পরিক লাভজনক এবং উপকারী ফলাফলের প্রয়োজনীয় বৈশিষ্ট্যগুলো স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
এর আগে গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ ও চীনের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে “প্রটোকল অব ফাইটোস্যানিটারি রিকোয়ারমেন্টস ফর এক্সপোর্টিং অব ফ্রেশ ম্যাঙ্গো ফ্রম বাংলাদেশ টু চায়না” সই করা হয়।
জানা গেছে, গত এপ্রিলের শেষের দিকে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাক্ষাতের সময় আম রপ্তানির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সেই বৈঠকে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে এ বছরই আম নিতে চায় চীন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, বাংলাদেশে প্রতিবছরই আমের উৎপাদন বাড়ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমের উৎপাদন ছিল ১২ লাখ টন। এবং গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন বেড়ে হয়েছে প্রায় ১৫ লাখ টন।