ইকোনমিক জোনে শিল্প স্থাপন করলে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের গ্যারান্টি দিচ্ছি। প্ল্যানিং ওয়েতে শিল্পায়ন হওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) ওয়েস্টিন হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত `বিদ্যুৎ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য গতিশীল প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিদ্যুতের সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীৰ্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের বক্তব্যের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে বলেন, এখনও অনেক গ্রাম এলাকায় ১ থেকে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। ভোল্টেজ আপ-ডাউনের কারণে প্যানেল নষ্ট হচ্ছে। অটোমেটিক মেশিন ম্যানুয়ালি চালাতে হচ্ছে এতে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। এখনও কেন পিক-অফপিক শুনতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রাস্তার পাশে যেখানে কমদামে জমি পাচ্ছে সেখানে শিল্প স্থাপন করে গ্যাস বিদ্যুৎ চাইলে নিরবিচ্ছিন্ন দেওয়া কঠিন। প্ল্যানওয়েতে শিল্প হতে হবে। আশুলিয়া এক সময় ছিলো গ্রাম, এখন বিশাল শিল্পাঞ্চল হয়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সবার ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহে দারুণভাবে সফল হয়েছি। এখন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরবিচ্ছিন্ন ও সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ। এ লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, সাশ্রয়ী রাখার জন্য গ্যাস, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছি। আর নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ডিপিডিসি ও পিজিসিবি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে ডিপিডিসির প্রকল্পের চুক্তি হতে পারে।
নসরুল হামিদ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ক্যাপটিভ থেকে বেরিয়ে আসেন। আমাদের থেকে বিদ্যুৎ নেন। আপনাদের জেনারেটরগুলো ইফিসিয়েন্সি ২০শতাংশ ওই গ্যাস দিয়ে আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন করলে ইফিসিয়েন্সি ৪৫ থেকে ৫০ শতাংস। শীতে আমাদের ৪ হাজার মেগাওয়াট অবিক্রিত রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে। আমার মনে হয় রাত ১১টার পর কারখানা চালু রাখলে বিদ্যুতের মূল্য কমানো যায় কি না, ভেবে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, এলএনজি পাইপলাইনে যুক্ত হয়েছে এখন পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভালো। আগামী ১ বছরের মধ্যে গ্যাসের সংকট কমে আসবে শিল্প-কারখানায় নিরবিচ্ছিন্ন দেওয়া সম্ভব হবে।
ব্যাংক ঋণের সুদের হার আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন, চৌদ্দ-পনের শতাংশ রেটে কোনো ব্যবসা সম্ভব না। মঞ্চে বসা প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও এফবিসিসিআই সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কাউকে দোষ দিতে চাই না। কিন্তু আপনারা কেন পারলেন না।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড.আহমদ কায়কাউস, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশিদ, ইউইসিএল (পাওয়ার), ইউনাইটেড গ্রুপের সিইও মেজবাহ উদ্দিন, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিন, আরইবি চেয়ারম্যান জেনারেল (অব.) মঈন উদ্দিন, চেয়ারম্যান,পিডিবি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ খালেদ মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।