সরকার কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা গ্রুপকে প্রমোট করবে না। এখন থেকে সবার জন্য প্রতিযোগিতা উন্মুক্ত থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিনিধিদল তাদের কারখানার জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সাপ্লাই পাচ্ছেন না, ফলে তাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তারা নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি জানান।
উপদেষ্টা বলেন, চাহিদার তুলনায় গ্যাস সরবরাহ অপ্রতুল বিধায় তা ব্যাহত হচ্ছে। সামিটের এফএসআরইউ গত তিন মাস যাবত বন্ধ বিধায় গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। আগামী ১৫ তারিখ হতে এটি চালুর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু ব্যবসার ক্ষেত্রে নয়, অন্যান্য খাতেও গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে, বিশেষ করে সার ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে। রূপসায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি গ্যাসের জন্য চালু করা যাচ্ছে না।
ফাওজুল কবির খান বলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, ২০১০ সালের বিশেষ বিধান আইন স্থগিত করা হয়েছে। সকল ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাতে কাজ পায় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণের আইন বাতিল করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম আরও কমানো যায় কিনা প্রতিনিধিদলের এমন অনুরোধের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ইতিমধ্যে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে, কিন্তু চলমান চুক্তিগুলোর জন্য বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সেভাবে কমানো যাচ্ছে না। ল্যান্ডবেজড এলএনজি টার্মিনাল করা যায় কিনা সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে, এছাড়া খুলনায় একটি এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা যায় কিনা সেটাও যাচাই করা হবে।
প্রতিনিধিদলের পক্ষে প্রস্তাব করা হয়, সিএনজি স্টেশন ও আবাসিক খাতে গ্যাসের সরবরাহ রেশনিং করে তা শিল্পখাতে সরবরাহ করার এবং স্বর্ণদ্বীপ ও কিশোরগঞ্জের হাওড়ে সরকারি জমিতে সোলার প্লান্ট করার বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য। এমন প্রস্তাবের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এই দুটি খাতেও গ্যাসের প্রয়োজন রয়েছে, তবে তাদের দাবিগুলো যৌক্তিকভাবে বিবেচনা করা হবে। এলএনজি আমদানি সহজ বিধায় এটির মাধ্যমে কারখানাগুলো চালানো যায় কিনা সে ব্যাপারও প্রতিনিধিদলকে ভেবে দেখা দরকার।
মতবিনিময় সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।