বৃষ্টিতে সবজির দাম কমেছে পাইকারি বাজারে

বাজারদর, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2024-09-27 10:55:28

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে বাজারে দাম কমেছে সবজির। বিভিন্ন ধরনের সবজির কেজি প্রতি দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। বাজারে সবজির পরিমাণ বেশি হওয়ায় লস দিয়ে সবজি বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

সরেজমিনে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর-১ পাইকারি কাঁচা বাজারে গিয়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। এসময় আগামী এক সপ্তাহে সবজির দাম কিছুটা বাড়তে পারে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিন প্রতি কেজি শসা মানভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা , ঢেড়স ৫০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, টমেটো ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৩০ টাকা, উস্তে ৫০ টাকা, কাকরল ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, বটবটি ৮০ টাকা, কাঁচা পেপে ১৫ থেকে ২০ টাকা, ছড়া কচু ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং লাউ ৩০ টাকা পিস বিক্রি করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের।

এছাড়াও পেয়াজ প্রতি কেজি মানভেদে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা, আলু ৪৫ টাকা কেজি, আদা প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৭০ এবং রসুন প্রতি কেজি ২১০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

মোসলেহ উদ্দিন নামের এক ক্রেতা জানান, তিনি প্রতি সপ্তাহেই এখানে বাজার করতে আসেন। খুচরা বাজারের তুলনায় এখানে দামের অনেক পার্থক্য। প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কম পাওয়া যায়। তাই প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার এখান থেকে বাজার করে নিয়ে যান বলে জানান তিনি।

মেসার্স বাণিজ্য ভান্ডার এর স্বত্বাধিকারী জাহাঙ্গীর বলেন, এই সপ্তাহে দাম বাড়ে নাই। গত কয়েকদিনের বৃষ্টি তে সবজির দাম কমে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে কেনা দামের চেয়েও কম দামে ছেড়ে দিতে হতে হচ্ছে।

সাত ফল ভাণ্ডারের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ আবু জাফর বলেন, গতকালের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কিছুটা কমেছে। বাজারে যদি মাল (সবজি) বেশি হয়ে যায়, তখন দাম পড়ে যায়। আবার মাল কম আসলে তখন দাম বেড়ে যায়।

বিসমিল্লাহ বাণিজ্যালয়ের এক বিক্রেতা বলেন, আজকে তো লস দিয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রতি কেজি উস্তে কিনে আনছি গতকাল ৫২ টাকা করে এখন ৪০ টাকা করে বিক্রি করতে হচ্ছে। বৃষ্টির জন্য দাম কমে গেছে। বাজারে মাল চলে আসছে বেশি। তবে এখন আবার দাম বাড়তে পারে। আগামী এক সপ্তাহ হয়তো এমন থাকবে। পরে আবার কমে যাবে।

আপনারা এতো কম দামে বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে দাম এতো বেশি কেন জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আমরা কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশিতেই মাল ছেড়ে দেই। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজিতে লাভ করে ২০ টাকা করে। আমরা সারাদিনে এতো মাল বিক্রি করেও যা লাভ করতে পারি না, ওরা বসে থেকেই এর চেয়ে বেশি লাভ করে ফেলে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর