৬ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত 'ইউনিয়ন ব্যাংক; রহস্যময় ব্যাংক হিসেবে ভোটের আগে নগদ লেনদেন' শীর্ষক সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি। প্রকাশিত প্রতিবেদনে যেসব তথ্য লেখা হয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই।
ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে অনেক তথ্যই বিকৃত ও অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, প্রথম আলো ধারাবাহিকভাবে ইউনিয়ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। দেশের একটি দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের কাছ থেকে এ ধরণের ধারাবাহিক প্রোপাগান্ডা আমরা প্রত্যাশা করি না।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংক খাত অত্যন্ত বিপদজনক ও সংকটাপন্ন সময় পার করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাত সংস্কারে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করছে। এ সময়ে সমাজের সব পক্ষেরই দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় দেশের ব্যাংক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অর্থনীতিও বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে 'মোস্তাক ট্রেডার্স' নামের একটি ব্যাংক হিসাব খোলার সঙ্গে ব্যাংকের এমডি এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্য হলো, একটি ব্যাংকের শাখা পর্যায়ে কি হিসাব খোলা হবে সেটি এমডি পর্যন্ত আসার কথা নয়। ব্যাংকিং রীতিনীতি মেনেই গ্রাহকের ব্যাংক হিসাব খোলা হয়ে থাকে। গ্রাহক তার নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী লেনদেন করে। আবার গ্রাহকের আবেদনের ভিত্তিতে সেটি যথা নিয়মে বন্ধ করা হয়ে থাকে। এগুলো ব্যাংকিয়ের স্বাভাবিক রীতিনীতি। ওই হিসাবটির তথ্য সার্ভার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে বলে প্রথম আলোর প্রতিবেদনে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, সেটিও মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। লেনদেনের কোনো তথ্যই সার্ভার থেকে ডিলিট করা যায় না। তথ্য মুছে ফেলা হলে প্রতিবেদক সে তথ্য কোথায় পেলেন। প্রতিবেদক একাধিকবার ব্যাংকে গিয়ে ও মোবাইল ফোনে চেষ্টা করে এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে যে অভিযোগ তুলেছেন, সেটিও সত্য নয়। ইউনিয়ন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ মনে করে, এ ব্যাংকে আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদ রয়েছে।