সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে ৪৬৭ কোটি দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল এ ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুইটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমারা নিশ্চিত করেছি, চাল ও গমসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, যেমন রোজার জন্য ডাল ও খেজুরের জন্য বরাদ্দের সমস্যা হবে না। কোন ব্যাপারেই যেন ভোগ্যপণ্য বা ভুক্তাদের কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। আসন্ন রোজায় যেন পণ্যের দাম না বাড়ে সে কারণে দ্রুতই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ছোলা, ডাল, চিনির তেল এবং খেজুর যেন দেশে ঠিক সময় আমদানি হয়।
উপদেষ্টা বলেন, এখন খাদ্যদ্রব্য মনিটরিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বলেছি, কোন কোন পণ্যের মজুদ কি অবস্থায় আছে, কি কি আমদানি করতে হবে, সেগুলো বিষয়ে কাজ করতে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি বাড়াতে বলে দিয়েছি। তারা দ্রুত পণ্য আনতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা চাল-গমের বিষয়ে যতটুকু মজুদ আছে, যতটুকু আমদানি দরকার, তারচেয়ে কিছুটা বেশি আমদানি ও সংগ্রহ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। প্রয়োজন যদি এক্স হয়, তবে টার্গেট এক্স প্লাস ওয়ান করতে বলেছি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের এগ্রোকর্প ইন্টারন্যাশনাল পিটিই লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার টন গম ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৮০ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রতি টন গমের দাম পড়বে ৩০১ দশমিক ৩৮ মার্কিন ডলার।
এছাড়া চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ভারতের ভেলপুর পট্টাভী এগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকে প্যাকেজ-১ এর আওতায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২৮৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪৭৭ মার্কিন ডলার।