বিআইবিএম—এর অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেনের বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতেবলা হয়, বিআইবিএম-এর টাস্কফোর্স অনুষ্ঠানে আমি ব্যাংকিং খাতে নাজুক অবস্থার জন্য আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ের বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সাথে সাথে কেন্দ্রীক ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা অভাবের কথা উল্লেখ করি। ব্যাংকিং খাত নিয়ে সরকারের কাছে জমা দেওয়া হোয়াইট পেপারেও জবাবদিহিতা ও সুশাসনের ঘাটতির কথা ওঠে এসেছে। মাননীয় গভর্নর স্যারও ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিভিন্ন ফোরামে কথা বলেছেন।
শীর্ষ পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তা, যারা বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নেই, পদের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে চাকরি, পদোন্নতি ও বদলির জন্য সুপারিশ করতেন। তৎকালীন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অতি অল্পসংখ্যক সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন।
বিগত সময়ে যারা দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে নানা অনিয়ম করেছেন, তারাই নানা তদবিরে জড়িত ছিলেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পাশাপাশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতো। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে, অনিয়মের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ৫ আগষ্টের পর তাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকজনই ইতিমধ্যে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, হাতেগোনা কয়েকজন কর্মকর্তা ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল কর্মকর্তাই অত্যন্ত সৎ, মেধাবী এবং চৌকষ। দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে এবং ব্যাংকিং খাতকে সুশৃঙ্খল এবং নিয়মের মধ্যে পরিচালিত করতে তাঁরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন।
ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষ্ঠাবান ও মেধাবী কর্মকর্তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, অভিজ্ঞ ও বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ মাননীয় গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর স্যারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বশীল ও পেশাদার কর্মকর্তারা দেশের ব্যাংক সেক্টরকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করবেন।
কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ও অপব্যাখ্যা করে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এ ধরনের ভুলভাবে উপস্থাপিত সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমি সবসময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সম্প্রতি সময়ে আমার দেওয়া বক্তব্যে কেউ মর্মাহত হয়ে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দু:খ প্রকাশ করছি। আমি কাউকে আহত বা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে কোন বক্তব্য প্রদান করিনি। শুধুমাত্র অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো টাস্কফোর্স সেমিনারে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।