উন্নয়নশীল হয়েও বিদেশি ওষুধের পেটেন্ট চায় বাংলাদেশ

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 10:54:52

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরও বাংলাদেশ বিদেশি ওষুধের পেটেন্ট ছাড়ের ধারাবাহিকতা চায়। মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিও সেল এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

ডাব্লিউটিও-এর বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিদেশি ওষুধ উৎপাদনের পেটেন্ট পায়, যা উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরে আর থাকবে না। 

দাবির অংশ হিসেবে, জেনেভায় আগামী ৩ ও ৫ এপ্রিলে নির্ধারিত বাংলাদেশের বাণিজ্য পর্যালোচনায় স্বল্লোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য একটি বিশেষ সুবিধা রাখার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদস্যদের অনুরোধ করা হবে।

২০১৫ সালে ডাব্লিউটিও বাণিজ্য-সম্পর্কিত বুদ্ধিজীবী সম্পত্তির অধিকারের দৃষ্টিভঙ্গি (টিআরআইপি) ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশসহ এলডিসিভুক্ত অন্য দেশগুলোর জন্য ওষুধের পেটেন্ট ছাড় বাড়িয়েছিল।

জাতিসংঘের এক রিপোর্ট অনুসারে, ২০২১ সালে পরবর্তী পর্যালোচনার পরপরই  ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে একটি উন্নয়নশীল দেশে উন্নতি হতে পারে।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাব্লিউটিওর সেল বৈঠকেরপ্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যগুলোর জন্য টিআরআইপিএস বাধ্যবাধকতা থেকে ক্ষমতা বাড়ানো ও ছাড়ের জন্য বাংলাদেশকে অগ্রাধিকারমূলক বাজারে ঢোকা ও সমর্থনের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলডিসি ব্লক থেকে বেরিয়ে আসার পর বাংলাদেশ ছয় থেকে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাজার ঢুকতে ধারাবাহিকভাবে যোগাযোগ করবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড: এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের মতো দেশগুলো ফার্মাসিউটিকাল পণ্যের জন্য বুদ্ধিজীবী সম্পত্তি নীতিগুলো কেবল  বাজারে ঢোকার যোগ্যতা ও সামর্থ্যের জন্য সামাজিক লক্ষ্যমাত্রা সামঞ্জস্য করার জন্য নয় বরং স্থানীয় শিল্পের উদ্ভাবন ও দক্ষতা উন্নয়নের জন্যও গ্রহণযোগ্য।’

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির সরকারিএ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এটি ২০২৪ সালের পর বিদেশি পেটেন্ট ওষুধগুলো ব্যয়বহুল হলে স্থানীয় ফার্মাসিউটিকাল ইন্ডাস্ট্রিজের মুখোমুখি হওয়া সমস্যাটিকে সমাধানে সহায়তা করবে।’

‘আমরা ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশে আরও বিদেশি পেটেন্ট ওষুধ তৈরির যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি এবং ওষুধগুলো টিআরআইপিএস এর বিধান থেকে এসেছে।’

বাংলাদেশ এখন ১৫১টিরও বেশি দেশে ফার্মাসিউটিকাল পণ্য রফতানি করছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরের রফতানি আয় ৩৯ দশমিক ৪২ শতাংশ বা ৭০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর