বিজিএমইএ নির্বাচন: অবশেষে প্রার্থী হচ্ছেন স্বাধীনতা পরিষদের সদস্যরা!

পোশাক শিল্প, অর্থনীতি

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-19 23:17:25

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। ওই তালিকায় স্বাধীনতা পরিষদের কয়েকজন উদ্যোক্তার নাম আছে। যদিও ওই পরিষদের সদস্যদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সড়ে দাঁড়াতে তাদের ওপর হামলা, একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া, এমনকি সদস্যপদ বাতিলের হুমকিও দেয় সংগঠনটির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ। কিন্তু তাতেও দমে যাননি স্বাধীনতা পরিষদের নেতারা। ফলে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন স্বাধীনতা পরিষদের ১৫ নেতা।

জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে বিজিএমইএ’র ইসি। তালিকা অনুযায়ী, ৩৬টি পরিচালক পদের জন্য মোট ৫৯ জনকে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ৪৯ জন ও চট্টগ্রাম থেকে ১০ জনকে তালিকায় রাখা হয়েছে। তালিকায় স্বাধীনতা পরিষদের নেতাদের মধ্যে রয়েছেন- পরিষদের আহ্বায়ক ও ডেনিম প্রসেসিং প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম, ডিলাক্স অ্যাপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন, ওয়েমার্ট অ্যাপারেলস লিমিটেডৈর পরিচালক আয়শা আক্তার, জেড এ অ্যাপারেলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী মেহজাবিন মমতাজসহ ১৫ জন।

অভিযোগ আছে, পরিষদ-ফোরাম জোট থেকে বারবার স্বাধীনতা পরিষদকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুমকি দেওয়া হয়। কারণ স্বাধীনতা পরিষদের উপস্থিতি না থাকলে এবারো সমঝোতার মাধ্যমে বিজিএমইএ’র কমিটি গঠন করা হতো। ফলে আগামী ৫ বছরেও ভোটের অধিকার ফিরে পেতেন না সদস্যরা।

বিজিএমইএ সূত্রে জানা যায়, পরিষদ-ফোরাম জোট থেকে মোহাম্মাদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হককে লিডার করে সমঝোতার প্যানেল দেওয়া হয়। ফলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে ২০১৫ সালের মাতো বিনা ভোটেই কমিটি গঠন করা হতো। তবে পরিষদ-ফোরাম সমঝোতা হলেও স্বাধীনতা পরিষদ রাজি না হওয়ায় সমঝোতার কমিটি হচ্ছে না।

স্বাধীনতা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন বানচাল করতে স্বাধীনতা পরিষদকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চাপ প্রয়োগ করেছে একটি চক্র। গত ২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেরার সময় স্বাধীনতা পরিষদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে আহত হন ৭ জন।

তবে কোনো পরিস্থিতিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না জানিয়ে মো. জাহাঙ্গীর আলম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘কোনো অপরাধ ছাড়াই আমাদের সমর্থকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা শুধু ভোটাধিকার ফেরত চেয়েছি। ভোটের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাইছি। এজন্য যেভাবে আমাদের সমর্থকদের পেটানো হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। আমি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে ভোটারদের সাথে জনসংযোগ শুরু করেছেন স্বাধীনতা পরিষদের নেতারা। নির্বাচনে জয়ের বিষয়ে আমি আশাবাদী।’

প্রসঙ্গত, বিজিএমইএ’র ইসির হালনাগাদ ভোটার তালিকা অনুযায়ী, আগামী ৬ এপ্রিল নির্বাচনে অংশ নেবেন এক হাজার ৯৯৫ জন। ২০১৫ সালের সেপ্টম্বর মাসে বিজিএমইএ’র দায়িত্ব নেন মো. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে বার্তমান কমিটি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তিন দফায় মোট দেড় বছর সময় বাড়িয়ে নেয় ওই কমিটি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর