৩০ ডিসেম্বর ভোট পরবর্তী গত দুই মাস অর্থাৎ চলতি বছরে দেশের পুঁজিবাজারে নতুন করে এক লাখ সাত হাজার ৩৬৫ জন বিনিয়োগকারী এসেছেন। বিনিয়োগকারীদের শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিডিবিএল বলছে, দুই মাসের মধ্যে জানুয়ারিতে এসেছেন ৮৯ হাজার ২৯৮ জন আর ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছেন ১৮ হাজার ৬৭ জন নতুন বিনিয়োগকারী।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর জানুয়ারি মাসের প্রায় সবদিন চাঙ্গা ভাবের মধ্যদিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। ফলে সূচক, লেনেদেন ও বেশির ভাগ শেয়ারের দাম বেড়েছে।
এসবের ফলে ২০১০ সালের ধস পরবর্তী বিনিয়োগকারীদের হারানো অনেক পুঁজি ফিরে পেতে শুরু করেন। তাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন করে পুঁজিবাজারমুখী হন বিনিয়োগকারীরা। ফলে ৮৯ হাজার বিও হিসাব বেড়েছে।
কিন্তু জানুয়ারির শেষের দিকে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের বেশির ভাগ সময় লেনদেন হয় সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায়। ফলে এ মাসে নতুন করে বিনিয়োগকারী কম এসেছে।
বিনিয়োগকারীদের তথ্য সংরক্ষণকারী এ প্রতিষ্ঠানের তথ্যমতে, ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি দেশি-বিদেশি, পুরুষ-মহিলা উভয় প্রকার বিনিয়োগকারীদের মোট বেনিফিশিয়ারী ওনার্স (বিও) হিসাব ছিলো ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৭৯৭টি। সেই অবস্থা থেকে গত দুই মাসে এক লাখ সাত হাজার ৩৬৫টি বিও হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ লাখ ৩৬ হাজার ১৬২টিতে।
তিন শ্রেণীর বিনিয়োগকারীর মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ৪২ হাজার ৯৫৯টি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৯৬৪টিতে। আর নারীদের সংখ্যা ১৪ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত লাখ ৫৩ হাজার ২৬৪টি। বাকি তিন শতাধিক বেড়ে ১২ হাজার ৯৩৪টি বিও হিসাব রয়েছে কোম্পানির নামে।
অন্যদিকে আবাসিক বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৫৪ হাজার ১৩৫টিতে। আর অনাবাসিক বিনিয়োগকারীর স্যংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৬৯ হাজার ৯৩টি এবং বাকি তিন শতাধিক বেড়ে ১২ হাজার ৯৩৪টি বিও হিসাব রয়েছে কোম্পানির নামে।
এছাড়াও ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ৩৪ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮১ হাজার ৩০১টি। জয়েন্ট বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ২১ হাজার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৪১ হাজার ৯৩৪টি এবং বাকি তিন শতাধিক বেড়ে ১২ হাজার ৯৩৪টি বিও হিসাব রয়েছে কোম্পানির নামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভালোভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন বাজার ভালো হবে, দু-টাকা লাভ পাবে এমন প্রত্যাশায় বিনিয়োগকারীরা বাজারে আসছেন।’
‘তবে বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী আসছেন প্রাইমারী মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য। সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগের জন্য নয়।’