বিমা দাবি পূরণে শীর্ষে পপুলার লাইফ

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 15:11:16

বিমার মেয়াদপূর্তি কিংবা দাবি পূরণে শীর্ষ অবস্থানে আছে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটি ২০১৮ সালে গ্রাহকদের ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৩৯০টি বিমা দাবি বাবদ ৭৭৩ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কোম্পানিটি ২০০১-২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ১৮ বছরে গ্রাহকদের ৩০ লাখ ৭০ হাজার ১২২টি দাবি বাবদ ৩ হাজার ৩৯২ কোটি ২ লাখ টাকা পরিশোধ করায় গ্রাহকদের মাঝে কোম্পানিটির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু বিমা বাবদ ১২৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, এসবি বিমা বাবদ ৫৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, মেয়াদপূর্তি বাবদ ২ হাজার ৬৮১কোটি ৬৮ লাখ টাকা এবং সমর্পণ বিমা বাবদ ৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে কোম্পানিটি। ফলে কোম্পানিটির ব্যবসাও বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি কর্তৃপক্ষ অন্যান্য কোম্পানির চেয়ে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা ব্যয়সহ সব ধরনের ব্যয় সংকুচন করেছে এবং অনলাইন সেবা চালু করেছে। যা বাংলাদেশের বিমা খাতে নতুন ইতিহাস। কোম্পানিটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে বহুগুণে। ফলে প্রতিনিয়ত পলিসির সংখ্যাও বাড়ছে।

জানা গেছে, ২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর প্রতিবছর শেয়ারহোল্ডারদের ভালো লভ্যাংশ দিচ্ছে কোম্পানিটি। ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে বিনিয়োগকারীদের ৪০ শতাংশ করে নগদ এবং ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ৪০ শতাংশ করে শেয়ার লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। তবে ২০১২ সালে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। আর ২০১১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে ৪০, ৩৭, ৩৫, ২৬ এবং ২০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি।

সার্বিক বিষয়ে পপুলার লাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বিএম ইউসুফ আলী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। গ্রাহকরা যাতে কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হন সেজন্য সব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিমা খাতের বেশিভাগ কোম্পানিতে মলিকরা হস্তক্ষেপ করেন। কিন্তু আমাদের কোম্পানিতে বোর্ডের সদস্যরা হস্তক্ষেপ না করে স্বাধীনভাবে কাজ করতে সহায়তা করেন। ফলে গ্রাহক এবং শেয়ারহোল্ডাররা দ্রুত পাওনা টাকা পান। আমরা সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি।’

আইডিআরএ’র তথ্য মতে, কোম্পানিটি ২০০১ সালে বিমা দাবি বাবদ ৪ লাখ টাকা, ২০০২ সালে ২২ লাখ টাকা, ২০০৩ সালে ৫১ লাখ টাকা, ২০০৪ সালে ৭৬ লাখ টাকা, ২০০৫ সালে ২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, ২০০৬ সালে ৩ কোটি ৫০ লাখ, ২০০৭ সালে ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, ২০০৮ সালে ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, ২০০৯ সালে ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, ২০১০ সালে ২৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা, ২০১১ সালে ৫২ কোটি ৮ লাখ টাকা, ২০১২ সালে ৮৩ কোটি ১ লাখ টাকা, ২০১৩ সালে ১৩৭ কোটি ২ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ২৫১ কোটি ২ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে ৬০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা, ২০১৬ সালে ৮০৫ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ২০১৭ সালে ৬২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং ২০১৮ সালে ৭৭ কোটি ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর