করপোরেট কর কমানোর প্রস্তাব এমসিসিআইয়ের

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-09 14:25:46

বেসরকারি খাতের বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষে আসছে বাজেটে করপোরেট কর কমানোসহ একগুচ্ছ প্রস্তাব করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

রোববার (৭ এপ্রিল) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এমসিসিআইয়ের ট্যারিফ-ট্যাক্সেশন কমিটির চেয়ারম্যান আদিব এইচ খান এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন। এনবিআরের চেয়ারম্যান মো.মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সভাপতিত্ব করেন।

সংগঠনের দাবিগুলোর মধ্যে, করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করা, ব্যক্তিশ্রেণীর সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেমে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা, সিএসআরের পূর্ণাঙ্গ ব্যয়ের ওপর কর রেয়াত, বিনিয়োগ স্কিমে অনুমোদিত বিনিয়োগের হার বৃদ্ধি, কোম্পানির বিদেশি ভ্রমণ ব্যয়ের সীমা ১ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ২ শতাংশে উন্নীতকরণ, লোকসানি কোম্পানির পরামর্শ সেবায় কর অব্যাহতি, সারচার্জের সীমা বাড়ানো, মূলধনী যন্ত্রাংশ ও মধ্যম পর্যায়ের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানো অন্যতম।

এসিআইয়ের চেয়ারম্যান আনিস উদ দৌলা বলেন, ‘আয়কর আইনের বেশ কিছু সমস্যা ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। সাধারণ নিয়মে আয় হলেই কেবল আয়কর দিতে হয়। তবে আমাদের দেশের আইনের কারণে লোকসানি প্রতিষ্ঠানকেও কর দিতে হয়। বেশি বেতনের কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিশোধ করতে হয়। আয়কর আইনের পারকিউজি হিসাবের কারণে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা বেতনভোগীকে নিয়মিত করের বাইরে আবার কর দিতে হয়। এটি আয়কর আইনের পরিপন্থী ।’

লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি গোলাম মাঈনুদ্দীন বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতির প্রেক্ষাপটে জীবনধারণের ব্যয় বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বর্তমানে প্রচলিত কর অব্যাহতি প্রাপ্ত আয়ের ঊর্ধ্বসীমা অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তিত জীবনযাত্রার ব্যয় পরিস্থিতির সাথে তাল মেলানোর জন্য কর অব্যাহতিপ্রাপ্ত আয়করের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো প্রয়োজন। বর্তমানে করদাতার সর্বোচ্চ করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হলে করদাতারা আয়কর রিটার্নে সঠিক তথ্য উপস্থাপনে উৎসাহী হব।’

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিবছরই ব্যবসায়ীদের অভিযোগ থাকে ব্যবসায়ীদের পরামর্শ বাজেটে প্রতিফলিত হয় না। আমরা এবার এ অভিযোগ থেকে বের হয়ে আসতে চাই। বাজেটে ব্যবসায়ীদের বাস্তবসম্মত প্রস্তাবগুলো রাখতে চেষ্টা করবে এনবিআর। তবে রাজস্ব আহরণের বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। এনবিআরের লক্ষ্য হলো ব্যবসার সুযোগ করে দিয়ে রাজস্ব আহরণ। করপোরেট করহার কমানোর বিষয়টি সব মহল থেকেই দাবি করা হচ্ছে।

আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি। অনেক দেশের চেয়ে আমাদের করপোরেট করহার কম। তবে আমাদের দেশে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা কম হওয়ায় উচ্চ পর্যায়ে করপোরেট কর পরিশোধ করতে হয় অধিক সংখ্যক কোম্পানিকে।

অন্যান্য দেশে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেশি হওয়ায় তারা সুযোগ পেয়ে থাকে। যেসব প্রতিষ্ঠান কর অব্যাহতি পাচ্ছে তাদের যেনো অগ্রিম আয়কর দিতে না হয় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তবে এসব প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতির সনদ দিতে হবে। এছাড়া ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করা প্রতিষ্ঠান যেনো সঠিকভাবে রেয়াত পেতে পারে সে বিষয়টি দেখা হবে বলেও জানান তিনি।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর