চলতি মাসের ১১ তারিখে দেশে কমেছিল সোনার দাম। কিন্তু তা দীর্ঘায়িত হয়নি। মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ভোগ্যপণ্যটির দাম বেড়েছে আবারো। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় দেশের বাজারে সোনার দর ভরিপ্রতি সর্বোচ্চ এক হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
গতকাল রোববার বাজুসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সোনার নতুন দর আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে।
নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেট ৪৯ হাজার ৩৩৯ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৭ হাজার ১২৩ টাকা এবং ১৮ ক্যারেট সোনা বিক্রি হবে ৪১ হাজার ৮৭৪ টাকায়। আর সনাতন পদ্ধতির সোনার ভরি দাঁড়াবে ২৫ হাজার ৬৬১ টাকা।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার পর্যন্ত প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট ও ১৮ সোনার মূল্য ছিল যথাক্রমে ৪৭ হাজার ৯৩৯ টাকা, ৪৫ হাজার ৭২৩ টাকা এবং ৪০ হাজার ৪৭৪ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির সোনা প্রতি ভর্তি বিক্রি হয় ২৪ হাজার ৭৮৬ টাকায়।
দর পুনর্র্নিধারণ করায় ২২, ২১ ও ১৮ ক্যারেটে ভরিতে ১ হাজার ৪০০ টাকা করে এবং সনাতন পদ্ধতির ভরিতে ৮৭৫ টাকা দাম বাড়বে। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত থাকছে। প্রতি ভরি রুপা ১ হাজার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স ও মার্কেট ওয়াচ বলছে, বছরের শেষ সময়ে এসে আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামে তেজিভাব দেখা দিয়েছে। মূলত মার্কিন সিনেট কর সংস্কার বিলে অনুমোদন দেওয়ায় ডলারের বিনিময় মূল্য দুর্বল হয়েছে। এর জের ধরে সোনার বাজারে তেজিভাব দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে গত শুক্রবার সোনার দাম বাড়ে। ওই দিন শেষে ভবিষ্যতে সরবরাহের চুক্তিতে প্রতি আউন্স সোনা বিক্রি হয় ১ হাজার ২৬৭ ডলার ৮ সেন্টে। এর আগে ১২ ডিসেম্বর সোনার দাম চলতি মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গিয়েছিল। ওইদিন পণ্যটি আউন্সপ্রতি ১ হাজার ২৪১ দশমিক ৭০ ডলারে লেনদেন হয়েছিল।
চলতি বছরে এ পর্যন্ত সোনার দাম ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। গত সেপ্টেম্বরে পণ্যটির দাম ১ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। ওই সময়ে সোনার দাম আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৪০০ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হয়। তবে পরে দাম বৃদ্ধির বদলে উল্টো দরপতন ঘটে মূল্যবান এই ভোগ্যপণ্যের বাজারে।