প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব-গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে গ্রামীণফোনের

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪ | 2023-08-25 04:06:37

২০১৯ সালের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) গ্রামীণফোন ৩ হাজার ৪শ ৯০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। গত বছরের তুলনায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৬ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রামীণফোন এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

২০১৯ সালের জানুয়ারি-মার্চ এই তিন মাসে ১৩ লাখ গ্রাহক গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছেন যা ২০১৮ সালের শেষ তিন মাসের (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তুলনায় ১ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ১১ লাখ ইন্টারনেট গ্রাহক অধিগ্রহণ করেছে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের মধ্যে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘নিয়ন্ত্রণমূলক কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও প্রথম প্রান্তিকে আমরা বেশ ভালো ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জন করেছি। বাজার ‌ব্যবস্থায় আমাদের শক্তিশালী অবস্থান বিদ্যমান এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ফোরজি গ্রাহক নিতে পেরেছি। প্রথম প্রান্তিকে ভয়েস এবং ইন্টারনেট থেকে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় আমাদের নিরলস চেষ্টা সবসময়ই অব্যাহত থাকবে।’

গ্রামীণফোনের প্রথম প্রান্তিকে ২৫ দশমিক ৬ শতাংশ মার্জিন নিয়ে মোট লাভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯০ কোটি টাকা। যা প্রতি শেয়ারের বিপরীতে ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৬১ টাকা।

গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কার্ল এরিক ব্রোতেন ‘গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও মার্জিন অর্জন করেছে। গ্রাহকদের মানসম্মত সেবা দিতে ও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে আমরা আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখব। ভবিষ্যতে গ্রামীণফোনের লাভজনক প্রবৃদ্ধির বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’

নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে প্রথম প্রান্তিকে গ্রামীণফোন ৪ হাজার ২শ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। আধুনিকায়নের পাশাপাশি এ সময়ে গ্রামীণফোন দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯২৬টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করছে। বর্তমানে গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা ১৫ হাজার ৯৩৯টি।

গ্রামীণফোন প্রথম প্রান্তিকে কর, ভ্যাট, ফি, ফোরজির লাইসেন্স ও স্পেকট্রাম এ ফি বাবদ ২ হাজার ৩০ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে যা একই সময়ে অর্জিত রাজস্বের ৫৮ দশমিক ১ শতাংশ।

অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডাররা ২০১৮ সালের জন্য ২৮০ শতাংশ (১২৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশসহ) লভ্যাংশ অনুমোদন দিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর