ব্লু ইকোনোমির জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-18 02:17:58

ব্লু ইকোনোমির সুফল পেতে আসছে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং ব্লু ইকোনোমি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেট্রোবাংলা ভবনে গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞরা এ প্রস্তাব দিয়েছেন।

তারা বলছেন, বাজেটে বরাদ্দ না থাকায় বিশাল অংকের সামুদ্রিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। ফলে ব্লু ইকোনমিক জোনের কার্যক্রমও অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সেল গঠন করে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতির কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। সমুদ্র সম্পদ আহরণের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগের বিকল্প নেই। আর এ বিনিয়োগ প্রথম সরকারের পক্ষ থেকেই করতে হবে।

গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম সাইফুল মজিদের পরিচালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও গবেষক ড. আতিক রহমান।

বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান মো. জোবায়ের আলম, উত্তরা ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. দিলরুবা চৌধুরী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব খোরশেদ আলম, যুগ্ম সচিব গোলাম শফিউদ্দিন, গ্রিনটেক ফাউন্ডেশনের সিইও লুৎফুর রহমান, সাংবাদিক গাজী আনোয়ার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সামুদ্রিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করতে সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ব্লু ইকোনোমি জোন গড়ে তোলা হয়। প্রত্যক্ষভাবে চারটিসহ মোট ১৭টি মন্ত্রণালয় ব্লু ইকোনোমি নিয়ে কাজ করার কথা। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো কাজই হচ্ছে না। কারণ সরকার খুব আগ্রহের সঙ্গে ব্লু ইকোনোমি জোন করলেও তা পরিচালনার জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি।

ড. আতিক রহমান বলেন, দেশের সমুদ্র অর্থনৈতিক এরিয়া অনেক বেশি। কিন্তু সমুদ্রের সম্পদ আহরণ আমরা কীভাবে করব তার জন্য সঠিক গবেষণা হওয়া দরকার। সরকার চারটি মন্ত্রণালয়ে ব্লু ইকোনোমি সেল গঠন করেছে। কিন্তু মন্ত্রণালয়গুলো তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না। মন্ত্রণালগুলোর উচিত ব্লু ইকোনোমি বিষয়ে এবং সমুদ্র সম্পদ নির্ণয়ে গবেষণাধর্মী প্রকল্প হাতে নেওয়া। এতে করে আমরা সমুদ্র থেকে কী পরিমাণ মৎস্য আহরণ করব তা সঠিকভাবে পরিমাপ করা যাবে। আবার গভীর সমুদ্র থেকে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আহরণেও একটা সমীক্ষা চালানো সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় সেল গঠন করে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে সমুদ্র অর্থনীতির কাছাকাছি পৌঁছাতে হবে। সমুদ্র সম্পদ আহরণের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য বিনিয়োগের বিকল্প নেই। আর এ বিনিয়োগ প্রথম সরকারের পক্ষ থেকেই করতে হবে। ফলে ব্লু ইকোনোমির সুফল পেতে বাজেটে বরাদ্দ জরুরি। এ খাতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ না থাকায় বিশাল অংকের সামুদ্রিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর