আসছে বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের (বিসিসিটিএফ) তহবিলের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যয়িত অর্থের ব্যবস্থাপনা এবং তার ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কৌশলগত দিক-নির্দেশনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা ও অর্থায়নে বাংলাদেশ সরকারের বহুমুখী এবং যুগোপযোগী উদ্যোগ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বিসিসিটিএফ গঠনের পর ২০০৯-২০১০ অর্থবছর থেকে সরকারের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ করে আসছে। যা ‘প্যারিস চুক্তি’ স্বাক্ষরকারী উন্নতদেশগুলো থেকে বাংলাদেশের তহবিল প্রাপ্তির যৌক্তিক ভিত্তিকে সুদৃঢ় করেছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিসিসিটিএফ গঠনের পর এই তহবিলে প্রথম তিন বছরে প্রতি বছর ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষয়-ক্ষতির ঝুঁকির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পায়নি, বরং ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেয়েছে।’
অন্যদিকে, সবুজ জলবায়ু তহবিলসহ উন্নত দেশগুলো কর্তৃক গঠিত অন্যান্য আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিলে বাংলাদেশের অভিগম্যতাও এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক নয়। ঝুঁকিবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে চাহিদার বিপরীতে অর্থের যোগান কমে যাওয়ার এই চিত্র উদ্বেগজনক। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি মোকাবিলায় বিসিসিটিএফের তহবিলের ঘাটতি পূরণে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের বাজেটে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জোর দাবি জানাচ্ছি।
ড. জামান বলেন, ‘একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বরাদ্দকৃত অর্থের ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’