লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দ্বিগুণ সঞ্চয়পত্র বিক্রি

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | 2023-08-22 22:32:54

২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। তবে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৯ মাসে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৪৩ হাজার কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ।

সরকার বাজেটের ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে ব্যাংকিং খাত থেকে টাকা নেওয়ার কথা বললেও অভ্যন্তরীণ ঋণের অন্যতম সোর্স হয়ে পড়েছে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে সংগৃহীত অর্থ।

সঞ্চয়পত্র অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে ৪৩ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকার নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। অথচ বাজেটে সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য ঠিক করেছিল।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার ২৮৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে এই দশ মাসে। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষমাত্রার ১৬৬ শতাংশ।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংক আমানতের সুদ কম হওয়ায় সঞ্চয়পত্রের দিকে বেশি ঝুঁকছেন সাধারণ মানুষ। কেউ মায়ের নামে কেউবা স্ত্রীর নামে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে রাখছেন। ব্যাংকিং খাতে তীব্র তারল্য সংকট তৈরি হওয়ার পিছনে এটাও একটা মূল কারণ বলে মনে করছেন তারা।

সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগকারীরা জানান, ব্যাংকে আমানত রাখলে মাত্র ৫ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে মুনাফা পাওয়া যায়। কিন্তু এখানে টাকা রাখলে সর্বনিম্ন ১১ শতাংশ মুনাফা পাওয়া যায়।

তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি বেড়েছে ৩ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। শুধু এপ্রিল মাসে নিট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৭৪১ কোটি টাকার। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।

আলোচ্য সময়ে (জুলাই-এপ্রিল) আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মূল ও সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩৩ হাজার ৩৮ কোটি টাকা। সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয় ২০ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা।

বাজেট ঘাটতি মেটাতে প্রতিবছরই সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা থাকে সরকারের। বিগত কয়েক বছর ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি পরিচয়পত্র জমা দেওয়ার শর্তে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করা শুরু হলেও তেমন কোনো ফলাফল দেখা যাচ্ছে না। তাই অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উপযুক্ত মানুষ যাতে এখানে বিনিয়োগ করতে পারে সে জন্য আরও কঠোর হতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর