কানস লায়নস এ বাংলাদেশের গৌরব বয়ে আনল 'গ্রে-ঢাকা'

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-26 02:10:27

কানস লায়নস-২০১৯ অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান বিজ্ঞাপন জগতের অস্কার হিসেবে পরিচিত। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলোর মধ্যে সেরা ক্রিয়েটিভ কাজগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে, প্রতিবছর পুরস্কৃত করে কানস লায়নস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান। 'গ্রে-ঢাকা' বাংলাদেশের হয়ে কানস লায়নসয়ে তিনটি পুরস্কার জিতেছে। দুটি সিলভার লায়ন ও একটি ব্রোঞ্জ লায়ন।
 
'গ্রে-ঢাকা' এবারের কানস লায়নে তাদের অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জমা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ৮টি ক্যাটাগরিতে শর্ট লিস্টেড হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো- পিআর, ডিরেক্ট, মোবাইল, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-পোভার্টি, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-ডিসেন্ট ওয়ার্ক ফর ইকোনোমিক্যাল গ্রোথ, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল-রিডিউসড ইনইকুয়ালিটি, ব্র্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স-ইভেন্ট এন্ড অ্যাকটিভেশান, ক্রিয়েটিভ ই-কমার্স।

২০১৪ থেকে বাংলাদেশের হয়ে কানস অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছে 'গ্রে-ঢাকা'। ২০১৮ পর্যন্ত অনেকগুলো ক্যাটাগরিতে ফাইনালিস্ট হয় 'গ্রে-ঢাকা'। ইতোমধ্যে গ্রে-ঢাকা ২০১৬ তে গোল্ড পেয়েছিল, যা বাংলাদেশের প্রথম কানস লায়ন অর্জন।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক ও স্বপ্নের সাথে যৌথভাবে অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটি করা হয়। বাংলাদেশের প্রান্তিক কৃষকরা খুব বেশি ফসল ফলাতে পারে না। সারা বছরে যে ফসল চাষ করে সেটা নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে, বাকি ফসল বিক্রি করে। এই বাড়তি ফসলে তারা ন্যায্যমূল্য পায় না।

অ্যাগ্রোব্যাংক পরীক্ষামূলকভাবে তাদের জন্য একটি নতুন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করে। যেখানে কৃষক তাদের সেই বাড়তি ফসলটুকু জমা দিয়ে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। প্রতিদিন তাদের ফসল জমা দিবে আর তাদের অ্যাকাউন্টে সেই ফসলের বিনিময়ে টাকা জমতে থাকবে। যা তারা তাদের মোবাইলে দেখতে পারবে। অন্যদিকে স্বপ্ন সেই তাজা শাক-সবজি দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা স্বপ্নের রিটেইল আউটলেটে বিক্রি করবে।

প্রজেক্টটির মূল আইডিয়া, পরিকল্পনা ও পরিচালনা করেন গ্রে-ঢাকার সিনিয়র ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ আকরুম হোসেন শাহিন। সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন গ্রে-ঢাকার চীফ ক্রিয়েটিভ ম্যানেজিং পার্টনার ও কান্ট্রি হেড সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন। অ্যাগ্রোব্যাংক প্রজেক্টটিতে আরও যারা নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন তারা হলেন, গ্রুপ ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর নুরুর রহমান বাচ্চু, অ্যাসোসিয়েট ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর তাওহিদ মিলটন ও শরিফুল ইসলাম তামিম, ক্রিয়েটিভ সুপারভাইজার নুরুল ইসলাম, সিনিয়র কপিরাইটার ওয়ালিদ রাজামিয়া ও রাকিব কিশোর, সিজি অ্যানিমেশন-আবির কর্মকার। ক্লায়েন্ট সার্ভিসিং এ ছিলেন, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সৈয়দ মোহম্মদ তারিক, গ্রুপ অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার জিহাদ বিন তাহজিব, প্ল্যানিং ডিরেক্টর বিটপ দাস গুপ্ত, স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিক ম্যানেজার ফাহিম খান, সিনিয়র অ্যাকাউন্ট এক্সিকিউটিভ নুহাশ আনজুম খান, ভিপি মিডিয়া, পিআর এন্ড ডিজিটাল মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি এবং প্রজেক্ট কোঅরডিনেটর মনামি সানজিয়া হোসাইন।

কানস লায়নসয়ের সম্মানজনক এই অর্জন বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলফলক। এই অর্জন আমাদের ক্রিয়েটিভ কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর