বিনিয়োগ সহায়ক বাজেটে ২০ ক্ষেত্রে পুনঃবিবেচনা চায় এফবিসিসিআই

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-19 08:28:42

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট শিল্প ও বিনিয়োগ সহায়ক বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। তারপরও দেশের বিনিয়োগ ও ব্যবসার স্বার্থে করপোরেট কর কমানো, কাঁচামাল ও মূলধনি যন্ত্রপাতি থেকে অগ্রীম কর প্রত্যাহার ও যোগানদারের ক্ষেত্রে মূসক পাঁচ শতাংশ করাসহ ২০টি প্রস্তাব করেছেন সংগঠনটির সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

বৃহস্পতিবার (২৭জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট ও অর্থ বিল নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাব জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন প্রমুখ।

এফবিসিসিআইয়ের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে- উৎসে কর কর্তনকারী প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক টার্নওভারের সীমা এক কোটি টাকার পরিবর্তে তিন কোটি টাকা করা, কর কর্মকর্তার জব্দ করণ ও আটক করার স্বেচ্ছাক্ষমতা ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার ক্ষমতা বাতিল, পাঁচ, সাড়ে সাত ও ১০ শতাংশ ভ্যাট প্রধানকারীদের উপকরণ কর রেয়াত নেওয়ার সুযোগ দেওয়া, আলাদা নিবন্ধনের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের বিধান করা।

আপিলের প্রতি স্তরের পরিবর্তে শুধুমাত্র প্রথম স্তরে দাবির ১০ শতাংশ জমা দেওয়া, বিচার চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত একবারই ডাউন পেমেন্ট প্রদান যৌক্তিক, আইন পালনে অনিয়মে জরিমানার হার ১০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। তা আগের মতো বহাল রাখার ও মাঠ পর্যায়ে মূল্য ঘোষণার জটিলতার জন্য ‘মূসক- চার দশমিক তিন এর মূল্য সংক্রান্ত কলাম-সাত, ১০ ও ১১ এবং এর বিশেষ দ্রষ্টব্য-২ বাদ দিয়ে ফরমটি সংশোধনীরপ্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানির করপোরেট কর হার দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ কমানো, আরএমজি ও বস্ত্র খাতের মতো অন্যান্য রফতানি খাতেও একই রকম করপোরেট কর হার করা, প্রাপ্ত নগদ ভর্তুকির ক্ষেত্রে অগ্রিম কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে তিন শতাংশ বহাল রাখা ও আরএমজিসহ সকল রফতানি খাতে একই ধরনের সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি বোনাস লভ্যাংশের উপর আরোপিত ১৫ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘বাজেট জনমুখী ও ব্যবসা-সহায়ক। শিল্পখাতে বিনিয়োগ, উৎপাদন সক্ষমতাবৃদ্ধি, রফতানিমুখী শিল্পের বহুমুখী প্রসার, প্রণোদনা ও অধিক প্রতিযোগিতা সক্ষম করাকে বাজেটে উন্নয়ন কৌশল হিসেবে নেওয়া হয়েছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর