পুঁজিবাজারে লেনদেনের শীর্ষে পোশাক খাতের শেয়ার

পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-30 05:36:38

বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল পোশাক খাতের শেয়ার। ফলে ব্যাংক ও প্রকৌশল খাতকে টপকিয়ে পোশাক খাতে ২২ হাজার ৮৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

এর আগের অর্থবছরের বিনিয়োগাকারীদের পছন্দের শীর্ষে ছিল পুঁজিবাজারের ‘প্রাণ’ বলে খ্যাত ব্যাংক খাতের শেয়ার। এর পাশাপাশি দ্বিতীয় স্থানে ছিল প্রকৌশল খাতের শেয়ারের চাহিদা। কিন্তু বিদায়ী বছর দুই খাতের শেয়ার চেয়ে পোশাক খাতের শেয়ারের চাহিদা বেশি ছিল বিনিয়োগকারীদের। ফলে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে খাতটি। ডিএসইর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, খেলাপি ও মন্দ ঋণের কারণে ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের সঙ্কট চলছে। তার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকগুলোর মুনাফায়। পড়েছে তারল্য সংকটে। এতে বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক খাতের শেয়ারে আস্থা হারিয়েছেন। পক্ষান্তরে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের পর বস্ত্রখাতের শেয়ারে ২ শতাংশ কর কমানোসহ নানা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল। ফলে বিনিয়োগকারীরা পোশাক খাতের শেয়ারে বিনিয়োগ করেছেন।

ডিএসইর তথ্য মতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বস্ত্রখাতের ৮২৮ কোটি ৭১ হাজার শেয়ার ২২ হাজার ৮৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ২ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা মোট মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রকৌশল খাতের ৩৩০ কোটি ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার শেয়ার ২১ হাজার ৪৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ।

একই সময়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৮৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার শেয়ার ১৭ হাজার ২০৯ কোটি ৬১ লাখ ১ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।

চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল খাত। আলোচ্য অর্থবছরে খাতটির ২৮৫ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার শেয়ার ১৫ হাজার ৮৮০ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

গত বছর লেনদেনের শীর্ষে থাকা ব্যাংকিং খাতের ৬৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৯১ হাজার শেয়ার ১৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ১২ লাখ ২৭ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ।

এ ছাড়াও ডিএসইর মোট লেনদেনের বিমাখাতের অংশগ্রহণ ছিল ৭ দশমিক ২২ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ, নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, খাদ্য-আনুষঙ্গিক খাতের ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, আইটির ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, চামড়া ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, সিরামিক ২ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিমেন্ট ১ দশমিক ৪১ শতাংশ, ভ্রমণ ১ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং কাগজ-প্রকাশনা খাতের ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর