চট্টগ্রাম বন্দরের অদক্ষ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি বিজিএমইএ’র

, অর্থনীতি

সেন্ট্রাল ডেস্ক ২ | 2023-08-24 23:05:55

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে অতিরিক্ত সময় লাগায় কোটি কোটি টাকার ব্যবসা অন্য দেশে চলে যাচ্চে বলে অভিযোগ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত অদক্ষ কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন সগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিজি্এমইএ ভবনে আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম বন্দরে পোশাক শিল্পের আমদানিকৃত মালামাল খালাস ও রপ্তানি পণ্য জাহাজীকরণে জটিলতা এবং পোশাক শিল্পখাতের সার্বিক পরিস্থিতি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে এত কঠিন সংকটে এ শিল্প আগে আর পড়েনি। পোশাক তৈরির উপকরণ বোঝাই জাহাজকে পণ্য খালাসের জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। পণ্য খালাস করতে না পারায় কন্টেইনার ভাড়া বাবদ বন্দর ও জাহাজ কোম্পানিতে অতিরিক্ত জরিমানা দিতে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ’আমরা কি এ সমস্যা সমাধান করবো না ব্যবসা করবো। অবকাঠামো দেখার যাদের কাজ তারা কী করছে। তারা কি এসব দেখে না। আমাদের করের টাকায় তাদের বেতন দেয়া হয়। আমরা সমস্যায় থাকবো আর তারা বেশি বেশি বেতন পেয়ে আয়েশে থাকবে তা আর হতে দেয়া হবে না। তারা কাজ না করলে তাদের সরিয়ে দেয়া হোক অবকাঠামো উন্নয়ন না হলে আমরা ব্যবসা করতে পারবো না। এসময় চট্টগ্রাম বন্দরের বেহাল দশা তুলে ধরে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, কি-গ্যান্ট্রি ক্রেন আমাদের প্রয়োজন ২৬টি, চট্টগ্রাম বন্দরে আছে চারটি, এরমধ্যে দুইটিই বন্ধ। রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন বন্দরে প্রয়োজন ৫২টি, আছে ২৩টি; এম্পটি হ্যান্ডলার ৩৯টি প্রয়োজন, আছে ১৯টি, ট্রাক্টর ট্রেইলর ১৩০টি প্রয়োজন, আছে ৪৩টি। সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্যদের আগামী দুই বছর পাঁচ শতাংশ নগদ সহায়তা দেয়ারও দাবি জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর