কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার কোটি টাকা

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-24 14:30:54

কৃষি খাতের উন্নয়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।

মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালায় এই ঋণ বিতরণের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মনিরুজ্জামান ঘোষণা করেন, সরকারের কৃষি ও কৃষকবান্ধব নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে টেকসই উন্নয়নের নির্ধারিত লক্ষ্যের প্রথম ও প্রধান তিনটি লক্ষ্য তথা দারিদ্র্য বিমোচন, ক্ষুধা মুক্তি এবং সুস্বাস্থ্য অর্জনের উদ্দেশ্যে কৃষি ঋণ সরবরাহের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন ও ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ১০ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা, বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের জন্য ১৩ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতকরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মনিরুজ্জমান বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। এটা ছিল মোট লক্ষ্যমাত্রার ১০৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

গত অর্থবছরে মোট ৩৮ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৪ জন কৃষক কৃষি ও পল্লি ঋণ পেয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্ক ওএমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৬ লাখ ১ হাজার ৮৫৬ জন নারী প্রায় ৭ হাজার ১৯০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ পেয়েছেন।

সেই সময়ে ২৯ লাখ ৮৯ হাজার ২৩৭ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১৬ হাজার ৩২২কোটি ৮৭ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৯ হাজার ৯৫০ জন কৃষক প্রায় ৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ পেয়েছেন।

এস এম মনিরুজ্জামান আরও বলেন, এবার কৃষি ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন বিষয় সংযোজন করা হয়েছে সেগুলো হলো— ব্যাংকগুলোকে নিজস্ব শাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ, কাজু বাদাম চাষে ঋণ প্রদান, রাম্বুটান চাষে ঋণ প্রদান, কচুরিপানায় ডাবল বেড পদ্ধতিতে আলু চাষ, গাভি পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, ছাগল-ভেড়া পালন ও বাণিজ্যিকভাবে রেশম উৎপাদনের জন্য ঋণ প্রদান। এছাড়াও শস্য-ফসল উৎপাদনের জন্য একর প্রতি ঋণ বিতরণ করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর