জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৮ দশমিক ২ শতাংশ

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-26 12:20:07

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতির প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হলেও বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় কিছুটা স্বস্তিকর উল্লেখ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির বলেন, মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ধরে ৮ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব।

বুধবার ( ৩১জুলাই ) বাংলাদেশ ব্যাংকের কনফারেন্স কক্ষে ২০১৯-২০ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণায় তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন। প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি সুদের হার কমিয়ে আনার কথা বলেছেন।

গর্ভনর বলেন, নতুন মুদ্রানীতিতে সুদহার, নগদ জমা ও তরল সম্পদের বিধিবদ্ধমাত্রাগুলো আগের মুদ্রানীতি থেকে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বলেন, ব্যাংকে কোনো তারল্য সংকট নেই। বর্তমানে ব্যাংক খাতে তারল্য রয়েছে ৮৫ হাজার ৬১৫ কোটি টাকা। তবে সব ব্যাংকের তারল্য প্রবাহ এক না। কোনো ব্যাংকের হয়তো অনেক বেশি আছে, আবার কোনো ব্যাংকের হয়তো কিছুটা কম আছে। এছাড়া, আন্ত:ব্যাংকগুলোর কলমানি রেটও স্বাভাবিক রয়েছে। এর হার এখন চার শতাংশ বলেও জানান ফজলে কবির।

তিনি বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর একবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণার কোনো তাৎপর্য নেই। প্রবৃদ্ধি অনুযায়ী কর্মসংস্থান না হওয়া প্রসঙ্গে ফজলে কবির বলেন, এটা নিয়ে সন্দেহ করার কিছু নাই। কর্মসংস্থান বাড়বে।

টাকার মান কমানো প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার মান বেশ যুক্তিসঙ্গত আছে। ফলে টাকার মান অবনমনের কোনো প্রয়োজন নেই।

পিপলস লিজিংয়ের অবসায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৩ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি খারাপের দিকে যাচ্ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক অনেক চেষ্টা করেছিল এটিকে টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। ফলে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় আমরা এটি অবসায়ন করতে বাধ্য হয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে গর্ভনর বলেন, ২০১৮ সালে আমরা কেন ফারমার্স ব্যাংক অবসায়ন করলাম না, এটা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। আবার ২০১৯ সালে পিপলস লিজিং কেন অবসায়ন করলাম এটা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে কেনো বাংলাদেশ ব্যাংক পিপলস লিজিং বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সমালোচনা হবেই।

আরেক প্রশ্নের জবাবে ফজলে কবির বলেন, গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের পরিমাণ বিবেচনা করে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট জমা দিয়ে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছর মেয়াদে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়। আসলে এগুলো মূলত রিপেমেন্টের স্বার্থেই করা হয়েছে। আর এই ক্ষেত্রে পূর্বের সার্কুলার সংশোধন করার দরকার নেই। মূলত এটা করার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পরিবর্তে চালু থাকবে। এতে করে কর্মসংস্থান ঠিক থাকবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর