রং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আলাদা একটি কেমিক্যাল জোন স্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমএ)।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশনের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সভায় এই দাবি জানানো হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুপালি হক চৌধুরী প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে দেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএসটিআইর মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতান মাহমুদ, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, বিএসটিআইর পরিচালক (সিএম) এস এম ইসহাক আলী।
সভায় শিল্পসচিব জানান, সরকার দেশের একই ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে একটি নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপনের জন্য বিভিন্ন শিল্পনগরী ও শিল্পপল্লী স্থাপন করছে।
রং প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি পৃথক জোন স্থাপন করতে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
রুপালি হক চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ উৎপাদিত রঙের মান বজায় রাখা এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যাতে পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো সচেতন রয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।’
প্রতিনিধিদল বিএসটিআইর স্ট্যান্ডার্ড প্রতিপালনপূর্বক সিএম লাইসেন্স গ্রহণের বাধ্যবাধকতা বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত এসআরও নং ২২০-আইন-২০১৮ প্রজ্ঞাপনের রং সংশ্লিষ্ট অংশ ক্রমিক নং ২৬, ২৭ ও ২৮-এর কার্যকারিতা পাঁচ বছরের জন্য স্থগিত করার দাবি জানায়।
এ প্রসঙ্গে শিল্প সচিব বলেন, ‘ব্যবসায়িক স্বার্থেই রং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে হবে এবং সেটি বজায় রাখতে হবে। দেশিয় পণ্যের মান খারাপ হলে বিদেশি পণ্যে বাজার দখল করে নিবে।’
কোন বিষয়ে কতদিন সময় প্রয়োজন সেটি বিস্তারিত প্রতিবেদন আকারে পাঠানো হলে তা বিএসটিআইর কাউন্সিলের সভায় উত্থাপন করা হবে বলে জানান শিল্প সচিব।
দেশিয় শিল্প সুরক্ষার স্বার্থে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআইর পক্ষ হতে এ বিষয়ে ল্যাবরেটরি সহায়তাসহ সবধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও দেন তিনি।
শিল্পসচিব সকল রং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সের বিষয়ে যথাযথভাবে অবহিত করতে একটি ওয়ার্কশপ পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ পেইন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আহ্বান জানান।