দেশের দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবস বুধবার সূচকের মিশ্র প্রবণতায় চলছে এদিনের লেনদেন কার্যক্রম। এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং সিএসইর প্রধান সূচক সিএসসিএক্স কমেছে ১৩ পয়েন্ট।
এছাড়াও একই সময়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসই
এদিন ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়ে। লেনদেনের শুরু হয় সাড়ে ১০টায়, শুরুতেই সূচক কমে যায়। প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৯ পয়েন্ট। বেলা ১০টা ৪০ মিনিটে সূচক বাড়ে ১১ পয়েন্ট। বেলা ১০টা ৪৫ মিনিটে সূচক বাড়ে ১৭ পয়েন্ট। বেলা ১০টা ৫০ মিনিটে সূচক ১৮ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর সূচক বাড়ার প্রবণতা কমতে থাকে। বেলা ১০টা ৫৫ মিনিটে সূচক ১৩ পয়েন্ট বাড়ে এবং বেলা ১১টায় সূচক ৫ বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ১৯২ পয়েন্টে।
অন্যদিকে, ডিএসই-৩০ সূচক প্রায় এক পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই শরিয়াহসূচক এক পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৯২ পয়েন্টে।
এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। একই সময়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তীত রয়েছে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত ডিএসইতে দাম বৃদ্ধি পাওয়া শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় আছে- কেপিসিএল, জেএমআই সিরিঞ্জ, কপারটেক, মুন্নু সিরামিকস, মুন্নু স্টাফলারস, ভিএফএসটিডিএল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, সিনোবাংলা ইন্ডাস্ট্রিজ, বিবিএস কেবল এবং ফরচুন সু।
সিএসই
অন্যদিকে, একই সময়ে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক (সিএসইএক্স) ১৩ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৬৩৩ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৯৩৬ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১৫ হাজার ৮৫২ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এদিন বেলা ১১টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
একই সময়ে দাম বাড়ার ভিত্তিতের সিএসই’র শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- তাকাফুল ইন্স্যুরেন্স, স্কয়ার টেক্সটাইল, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স, বিচ হ্যাচারি, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, কেপিসিএল, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ফরচুন সু, জেএমআই সিরিঞ্জ এবং ওইএল।