জমির রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫ শতাংশ অযৌক্তিক

, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-13 05:34:43

ঢাকা: ভূমি নিবন্ধন খরচ  (রেজিস্ট্রেশন ফি) ১৫ শতাংশ হওয়া ‘অযৌক্তিকতা’ বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

শনিবার (২ জুন) রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে এক গোলটেবিল আলোচনার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

রিহ্যাব এবং সেন্টার ফর কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক (সিসিএন) এর যৌথ উদ্যোগে ‘জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত’ র্শীষক এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। 

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ।

অনুষ্ঠানে নির্ধারিত ১৯ জন আলোচকের মধ্যে বেশিরভাগেই ভূমি নিবন্ধন খরচ উচ্চ হার হওয়ায় আবাসন খাতে সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

গত ৫টি অর্থবছর থেকে আবাসন খাতে এ নিয়ম চলে আসছে বলে দাবি করেছে রিয়েল এস্টেট এ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। যার ফলে এ খাতে মঙ্গা অবস্থা বিরাজ করছে বলে মনে করছে সংগঠনটি। 

আলোচকদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জমির রেজিস্ট্রেশন ফি কোন কারণেই ১৫ শতাংশ হতে পারে না। এর হার কমিয়ে আনতে আমি অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাজেট পাস হওয়ার আগেই কথা বলবো। বিশেষ করে যেদিন বাজেট উত্থাপন হবে সেই অধিবেশনের আগে মন্ত্রী সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে এ বিষয় উপস্থাপন করবো। এটি যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে আসে সে চেষ্টা করবো।’

ব্যাংকিং খাতের সমস্যার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এটি একটি স্পর্শকাতর খাত, এ খাতের বিষয়ে আমাদের আরও যত্নবান হতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে গ্রাহক তার হিসাব থেকে টাকা নিতে গেলে তা পাচ্ছেনা, এটা খারাপ চিত্র। সব ব্যাংকে এমন তা বলছি না, যাদের ক্ষেত্রে হচ্ছে তাদের জন্য ভালো না। এছাড়া উচ্চ সুদের বিষয়ে কথা এসেছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকের মালিকদের সঙ্গে আলাপ করেছেন, সমাধান হবে।’

আলোচনায় উঠে এসেছে, সরকার নির্ধারিত জমির উচ্চ নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) ফির কারণে ক্রয়মূল্যের অনেক কমদাম দেখিয়ে দলিল করছে ক্রেতারা। এতে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে অন্যদেকে ক্রেতাদের বাড়ছে অপ্রদর্শিত অর্থের পরিমাণ। এ জটিলতার সমাধানে প্লট বা ফ্ল্যাট ক্রয়ে নিবন্ধ ফি কমিয়ে পূর্বের নিয়মে নিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা। তা না হলে দেশের যে পরিমাণ কালো টাকা বাড়ছে, তা দেশে বিনিয়োগের সুযোগ না পেয়ে বিদেশে চলে যাবে বলে জানায় তারা। 

মূলপ্রবন্ধে আবসন খাতের সমস্যা সমধানে ৮টি সুনিদিষ্ট প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন ফি কমানো; সেকেন্ডারি মার্কেট তৈরি; বাণিজ্যিক ও গৃহ ঋণের স্তর নির্ধারণ; ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি এক অংকের ঋণ ব্যবস্থার প্রবর্তণ; ওয়ান স্টপ সার্ভিস ব্যবস্থা চালু করণ; অঞ্চল ভিত্তিক পরিবেশ সনদ প্রদান; ২০ থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন; ফ্লাট ক্রয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রদান। 

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিনের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন, সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ, সাবেক মন্ত্রী শেখ শহিদুর ইসলাম, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো: শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), রিহ্যাব সিনিয়র সহ-সভঅপতি নূরুন্নবী চৌধুরী (শাওন),বিসিআই সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল প্রমুখ।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর