খেলাপি ঋণ সমাধানে নতুন আইন করা হবে। পাশাপাশি ঋণ খেলাপির পরিমাণ কমিয়ে আনতে বর্তমানে যে আইন আছে সেটারও বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এনইসি সম্মেলন কক্ষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি।
মুস্তফা কামাল বলেন, অতীতের ঋণ খেলাপির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। যদি কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা জড়িত থাকে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, নতুন আইনে ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংক পরিচালকদের পারসোনাল গ্যারান্টি নিতে হবে। এই সমস্ত গ্যারান্টিগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় শক্তিশালী করা হবে। যদি কোনো কারণে ঋণ গ্রহীতা ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে ব্যাংক পরিচালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এগুলো করতে পারলে খেলাপি ঋণ বাড়বে না। মূলত আইনি প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণেই খেলাপি ঋণ বেড়ে ছিলো। এখন খেলাপি ঋণ বাড়ার কোনো সুযোগ থাকবেনা। কাস্টমার দায়ী থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, একইভাবে ব্যাংকের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে খেলাপি ঋণ বাড়বে না।
তিনি আরো বলেন, নিজেরদের মূল্যায়ন করার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংক তিন মাস পর পর আলোচনায় বসবে। আমরা ব্যাংকে হেলদি কমপিটিশন দেখতে চাই। সেখানে কে কী পরিমাণ মুনাফা করলেন? কী পরিমাণ ঋণ দেওয়া হলো এবং কোনো ঋণ খেলাপি নতুন করে যুক্ত হলে তা তুলে ধরা হবে।