এআরকে ইমপেক্সর ২ কোটি টাকার কর ফাঁকি

পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-29 16:03:55

বন্ডেড সুবিধায় কাঁচামাল আমদানি করেও প্রায় ২ কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে মেসার্স এআরকে ইমপেক্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে।

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার এই গার্মেন্ট কারখানাটি বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্ত ও তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সদস্য। প্রতিষ্ঠানটি বন্ড সুবিধায় গামর্মেন্টস পণ্য পিপি, ডুপ্লেক্স বোর্ড, ইয়ান, পেপার রিবণ এবং বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক্স আমদানি করেছে। কিন্তু পরিদর্শনে কোম্পানি সেই পণ্য পাওয়া যায়নি। জাতীয় রাজস্ব র্বোড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, চলতি বছরের ৪ জুলাই কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের সহকারি কমিশনার আল আমিনের নেতৃত্বে কাস্টমস বন্ডের প্রিভেন্টিভ টিম কারখানা পরিদর্শন করে। এ সময় বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ১ লাখ ১৭ হাজার ৩২২দশমিক ৪২ কেজি কাঁচামাল পায়নি। অর্থাৎ এই পন্য কাঁচামাল অবৈধভাবে অপসারিত করা হয়েছে। যা খোলা বাজারে বিক্রি করেছে। এই পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ১ কোটি ৮৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪৬৩টাকা। আর তাতে শুল্ক কর ফাঁকি দিয়েছে পরিমাণ ১ কোটি ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৭ টাকা।

অপরদিকে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬২৪ কেজি কাঁচামাল ইন্টুবন্ড রেজিস্ট্রারে এন্ট্রি না করে ইউপি বাদ দিয়ে অবৈধভাবে অপসারণ করা হয়েছে। যার শুল্কায়ন মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ ৩৬ হাজার ৯৪৬ টাকা।আর তাতে শুল্ক কর ফাঁকি দিয়েছে ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৬ টাকা।

যা দ্যা কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ এর সেকশন ১৩(১)৮৬, ৯৭ এবং ১১৪ এর বিধান বন্ডেড ওয়্যার হাউস লাইসেন্সিং বিধিমালা, ২০০৮ এর লঙ্ঘন।যা দ্যা কাস্টমস অ্যাক্ট, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৫৬ এবং সাব সেকশন (১) এর টেবিলভুক্ত ক্লস ১ ও ৯০ মোতাবেক দন্ডযোগ্য এবং উক্ত অবৈধ অপসারণকৃত কাঁচামালের সঙ্গে জড়িত শুল্ক-করাদি বাবদ ১কোটি ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩৭টাকা এবং ৮৩ লাখ ৪২ হাজার ৯৪৬টাকা অর্থাৎ ১কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার ৫৮৩টাকা অ্যাক্ট এর সেকশন ১১১ মোতাবেক সরকারি কোষাগারে আদায়যোগ্য।

কাস্টমস আইন ১৯৬৯ এর সেকশন ১১১ এর ক্ষমতাবলে গত ৩১ জুলাই কমিশনার এসএম হুমায়ূন কবীর কোম্পানির ১ কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার ৫৮৩টাকা পরিশোধের জন্য দশানোর নোটিশ দিয়েছে। একই সঙ্গে কেন দন্ড দেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে। কাস্টমস অ্যাক্টের সেকশন ১৫৬ এর সাব-সেকশন(১)এর টেবিল ক্লজ ১,১৫,৫১এ,৬০,৬১,৬২ও৯০এর আইন অনুসারে  নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি) নাসির উদ্দিন শিকদারকে মোবাইল ফোনে একাধিকভাবের যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর