বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ : এফবিসিসিআই

, অর্থনীতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-20 02:05:33

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ৪ লক্ষ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট বাস্তবায়নেই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছে দেশের ব্যবসায়ীদের প্রধান সংগঠন এফবিসিসিআই।

এছাড়া বাজেট বাস্তবায়নে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বজায় রাখা এবং বেসরকরি খাতের বিনিয়োগ বাড়াতে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও ভূমির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। আর নির্বাচনের বছরে রাজনৈতিক দলগুলোকে জনস্বার্থের কর্মসূচি দেয়ার আবেদন করেছে এফবিসিসিআই।  

শনিবার (৯ জুন) দুপুরে মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন)।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের ওপর আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জন্য এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। এসময় এফবিসিসিআই সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শফিউল ইসলাম বলেন, বাজেট বাস্তবায়নে বছরের শুরু থেকেই সুষ্ঠু মনিটরিং জোরদার করা জরুরি। বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দক্ষতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং তদারকের মান নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এই বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিবে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে বলেন, ব্যাংকিং খাত নিয়ে সমালোচনা শোনা যাচ্ছে। মুষ্টিমেয় কিছু স্বার্থন্বেষী মহলের কারণে ব্যাংকিং খাতে এধরনের বিশৃংখলা দেখা দিচ্ছে, যা আমাদের পলিসির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। বিষয়টি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি - যাতে করে ব্যাংকিং খাতে সুশাসন বজায় থাকে।” 

বেসরকারী খাতের বিনিয়োগের বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, “বিদ্যুৎ, জ্বালানী, যাতায়াত ও ভূমির নিশ্চয়তা দেয়া গেলে যে লক্ষমাত্রাই আসুক, বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের তা বাস্তাবায়নের ক্ষমতা রয়েছে। এ জন্য যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে, তার দ্রুত বাস্তবায়ন, কারখানা উপযোগী বিদ্যুৎ সর্ববরাহ এবং গ্যাসের নিশ্চয়তা দিতে হবে।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার বিষয়ে শফিউল ইসলাম বলেন, “একটি গুরুত্বপূর্ণ দলের শীর্ষ নেতা জেলখানায় রয়েছেন। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া। এছাড়া নির্বাচনের বছর। এর আগেও নির্বাচনের আগে পরে ব্যবসায়ীরা জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি দেখেছে। এতে দেশের শীর্ষস্থানী প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে। যা ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কখনো পছন্দ করেনি এবং করবে না। কারণ ব্যবসায়ীরা রাজনীতি করেনা। রাজনৈতিক কর্মসূচি যেমন সেই দলের অধিকার, তেমনি জনস্বার্থও দেখা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান থাকবে কোন ধরনের বিশৃঙ্খল কর্মসূচি যাতে না দেয়া হয়। যা ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতি হবে।”

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর