পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে বে-মেয়াদিতে রূপান্তর করতে চায় কর্তৃপক্ষ। এই লক্ষে অর্থাৎ বে-মেয়াদি ফান্ডে পরিণত করতে করণীয় জানতে চেয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে ফান্ডটির ট্রাস্টি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ট্রাস্টি সদস্য আহমেদ সাইফুদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এই চিঠি দেওয়া হয়েছে। ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠানটি হলো-বাংলাদেশ জেনারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
চিঠিতে বলা হয়, সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এর বিধি ২৪ (১০) (খ) অনুযায়ী, ডিবিএইচ ফার্স্ট ফান্ডের বিভিন্ন বিনিয়োগকারীরা ট্রাস্টিকে মিটিংয়ের জন্য আহ্বান করেছেন। তারা ফান্ডটিকে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা, ২০০১ এর বিধি ৫০ (গ) অনুযায়ী, বে-মেয়াদিতে রূপান্তরের বিষয়টি আলোচনার জন্য ওই মিটিং আহ্বান করতে বলেছেন।
ফান্ডটিকে বে-মেয়াদিতে রূপান্তরের আলোচনার জন্য ৭৮.৪২ শতাংশ ইউনিটধারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ট্রাস্টিকে আহ্বান করেছেন। এই ইউনিটধারী প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- পূবালী ব্যাংক সিকিউরিটিজ, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস, সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট, আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স, ইডিজিই এএমসি ও এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনারস অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্ট।
তবে বে-মেয়াদিতে রূপান্তরের জন্য সভায় উপস্থিত ইউনিটধারীদের তিন-চতুর্থাংশের প্রস্তাব লাগবে।বে-মেয়াদিতে রূপান্তরের মাধ্যমে ফান্ডটি থেকে ইউনিটধারীদের বিনিয়োগ উঠিয়ে নেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। সেক্ষেত্রে ফান্ড ম্যানেজারকে ইউনিটের পরিবর্তে সম্পদ মূল্য ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে ফান্ড ম্যানেজার চাইলে ওই ইউনিট আগ্রহীদের মধ্যে বিক্রিও করতে পারবেন। অন্যথায় ফান্ডের আকার ছোট হয়ে আসবে। ফলে অ্যাসেট ম্যানেজারের ফান্ডটি থেকে ফি বাবদ আয় কমে আসবে।
এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশ অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালিত ডিবিএইচ ফান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধনের আকার ১২০ কোটি টাকা। যে ফান্ডটির ১০ টাকার প্রতিটি ইউনিটে ৯ দশমিক ৯৪ টাকার সম্পদ রয়েছে। আর ইউনিটটির বাজার দর রয়েছে ৮ দশমিক ৫০ টাকা।