গ্রামীণফোন-রবির সমস্যার সমাধান হবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজার, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-27 01:39:56

পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার সরকার তার সবকিছু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম খায়রুল হোসেন।

তিনি বলেন, 'ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশকে (আইসিবি) জবাবদিহিতার মধ্যে আনা হবে। মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির সমস্যার সমাধান হবে।'

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিএসইসি কার্যালয়ে বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী এবং স্বপন কুমার বালা উপস্থিত ছিলেন।

খায়রুল হোসেন বলেন, 'আমি যখন এখানে বসেছিলাম তখন অর্থমন্ত্রী আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন- বাজার উন্নয়নের জন্য যা যা করতে হয় আমরা সর্বপ্রকার চেষ্টা করব। আপনি যেহেতু একটি ফাংশনের মধ্যে আছেন সবাইকে জানিয়ে দেন। বাজারে ইনডেক্স (সূচক) শুধু পজেটিভ হলে হবে না। বাজারের টার্নওভার (লেনদেন) যেন অনেক বড় হয়, সবার ভেতরে যেন একটা আস্থার সৃষ্টি হয় আমরা সেই পরিকল্পনা নিয়েছি।'

গ্রামীণফোন-রবির সমস্যার সমাধান হবে

তিনি বলেন, 'ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের যে ভূমিকা, আইসিবির বন্ডের দুই হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেখা গেল বিনিয়োগকারীদের যে টাকা দেওয়ার কথা তার ৫০ শতাংশ দিয়েছে, বাকি ৫০ শতাংশ ডিবেঞ্চারে লোন হিসেবে দিয়েছে। আমরা তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনব। ফান্ড জমা হবে। সেই ফান্ড বাজারকে সাপোর্ট না দিয়ে, অন্য গার্মেন্টস কোম্পানিকে দেবেন, এগুলো করা যাবে না। বিডিবিএলের মাধ্যমে কীভাবে বাজারকে সচল রাখা যায়, সে ব্যবস্থা আমরা করব।'

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, 'অর্থমন্ত্রী বলেছেন- সরকারি লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে পুঁজিবাজারে আনার ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। সেই লাভজনক কোম্পানি শিগগিরই আপনারা দেখতে পাবেন। কয়েক মাসের মধ্যে দুই-একটি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসবে।'

মোবাইল অপারেটর রবি ও গ্রামীণফোনের বিষয়েও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে খায়রুল বলেন, 'রবি ও গ্রামীণফোনের যে সমস্যা তার সমাধান হয়ে যাবে। রবি আমাদের সঙ্গে বসেছে। প্রথমে ওরা বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজারে আসতে চেয়েছিল। আমরা বলেছি ফেস ভেল্যুতে আসতে। কারণ বাজারে যদি আপনি ফেস ভেল্যুতে না আসেন, তাহলে বিনিয়োগকারী কিছুই পাবে না। আপনাদের ব্যালেন্স সিট এখনো অত শক্তিশালী নয়। ওরা এতেও রাজি হয়েছে।'

আগামী বছরের জুনের আগেই বাজরে অনেকগুলো নতুন নতুন পণ্য আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, 'বাজারে যখন বিনিয়োগকারীর অল্টারনেটিভ চয়েজ বেড়ে যাবে, তখন বিনিয়োগকারীর লসের মাত্রা কমে যাবে। বাজারের গভীরতা বাড়বে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা বাড়বে। আমরা সেই দিনের প্রতিজ্ঞা করছি। আশাকরি আগামী জুনের আগেই অনেকগুলো নতুন নতুন প্রোডাক্ট আমরা বাজারে দেখতে পারব।'

এ সম্পর্কিত আরও খবর