আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেল লাইন নির্মাণের অগ্রগতি ৬৪ শতাংশ

বিবিধ, অর্থনীতি

তৌফিকুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, | 2023-09-01 12:48:37

আখাউড়া-লাকসাম রেলপথকে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করা হচ্ছে।২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। গত দুই বছর ১০ মাসে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৬৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

আখাউড়া লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের রুট হলো ৭২ কিলোমিটার এবং এর ট্রাক হলো ১৪৪ কিলোমিটার। এছাড়া ইয়ার্ড, লুফ লাইনসহ মোট ১৮৪ দশমিক ৬০ কিলোমিটার নির্মাণ করা হবে।

আখাউড়া- লাকসাম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান এই প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে নিশ্চিত করেন।

তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, 'আখাউড়া-লাকসাম রেলপথটি বর্তমানে সিঙ্গেল লাইন মিটারগেজ অবস্থায় আছে। এই রেলপথকে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৪ সালে অনুমোদন পায়। সব জটিলতা কাটিয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয়'।

প্রকল্প পরিচালক দফতর সূত্রে জানা যায়, 'চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার যৌথভাবে এই প্রকল্পের কাজ করছে। ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে এডিবি ঋণ দিচ্ছে চার হাজার ১১৮ কোটি ১৪ লাখ ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) দিচ্ছে এক হাজার ৩৫৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। বাকি এক হাজার ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হচ্ছে'।

প্রকল্প দফতর সূত্রে আরো জানা যায়,' চট্টগ্রামের আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলওয়েতে ১৮৪.৬০ কিলোমিটার লাইনে ১৩টি বড় সেতুসহ মোট ৪৬টি ছোট-বড় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। তাছাড়া এই রুটে কম্পিউটারাইজ সিগন্যাল ব্যবস্থাসহ আখাউড়া ও লাকসাম রেলস্টেশনসহ ১১টি বি-ক্লাস রেলস্টেশন ও ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে'।

প্রকল্পের অগ্রগতির কথা জানিয়ে প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'পুরোদমে এগিয়ে চলছে আখাউড়া-লাকসাম প্রকল্পের কাজ। প্রকল্পের প্রাক্কলিত যে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে তা দিয়েই কাজ করা হবে। নতুন করে ব্যয় বাড়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দেওয়া আছে ২০২০ সালের জুন মাস। তবে  আরও সময় লাগতে পারে।

প্রকল্প পরিচালক আরো বলেন, 'এদিকে লাকসাম-আখাউড়া ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণকাজ সমাপ্ত হলে আগের চেয়ে ট্রেনে চলাচলের সময় ২৫ মিনিট কমে আসবে। এছাড়া বর্তমানে এই পথে ২৩ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই রুট দিয়ে ৭২ জোড়া ট্রেন চলাচলের সক্ষমতা তৈরি হবে। একই সাথে মালবাহী কনটেইনার চলাচলেরও সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়বে'।

এ সম্পর্কিত আরও খবর