৮৭০ কোটি টাকার পাচার, ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ব্যাংক বীমা, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-08-25 14:01:57

হেনান আনহুই এগ্রো এলসি এবং মেসার্স এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপির মালিক আব্দুল মোতালেব সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে কাস্টম গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান দুটি ১৫টি বিল অব এট্রি এবং ১৫টি এলসির মাধ্যমে ৮৭০ কোটি ৮৬ লাখ ২১ হাজার ৩৮৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা পাচার করেছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টন থানায় এই মামলা দায়ের করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তা এই ১১ জনের বিরুদ্ধে মোট ১৫টি মামলা দায়ের করেন। কর্মকর্তারা হলেন বিটন চাকমা, শামসুন নাহার এবং আছমা বেগম।

এর মধ্যে বিটন চাকমা ৬টি, আছমা বেগম ৫টি এবং শামসুন নাহার ৪টি মামলা দায়ের করেন। অর্থ পাচারে পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে সিগারেট, এলইডি টেলিভিশন, ফটোকপির মেশিন এবং মদসহ বিভিন্ন জিনিস আমদানি করেছে অভিযুক্তরা।

আসামিরা হলেন- রাজধানীর খিলক্ষেতের ডুমনী ইউনিয়নের পতিরা এলাকার আব্দুল মোতালেব, পশ্চিম রামপুরার শহীদুল ইসলাম, উত্তর শাহজাহানপুর শান্তিনগর মতিঝিলের মেহেদি হাসান এবং তারাগঞ্জ কাপাসিয়া গাজীপুরের নওশাদুজ্জামান।

চট্টগ্রামের ধনিয়া লাপাড়ার সি অ্যান্ড এফ মেসার্স রাবেয়া সন্স ও যশোর কোতোয়ালী থানার তারিখোলার পুলিশ লাইনের জালাল উদ্দিন, আলফাডাঙ্গা ফরিদুপরের আরিফুজ্জামান জেটি সরকার, পূর্বধলা নেত্রেকোণার রুকুজ্জামান জেটি সরকার, সারিদাকান্দি বগুড়ার এনামুল হক জেটি সরকার, ফুলগামী ফেনীর ফররুখ আহম্মদ জেটি সরকার, লোহাগড়া নড়াইলের রওশন আলম জেটি সরকার এবং মিরর ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডর মালিক দিদুরুল আলম টিটু।

নাম না প্রকাশের শর্তে কাস্টম গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আসামি আব্দুল মোতালেব এর মালিকানাধীর হেনান আনহুই এগ্রো এলসি ও এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি ১২টি কন্টেইনারের মাধ্যমে চট্ট্রগাম বন্দরে পোল্ট্রি ফিডের ক্যাপিটাল মেশিনারি ঘোষণায় আমদানি নিষিদ্ধ ও আমদানি নিয়ন্ত্রিত পণ্য খালাসের চেষ্টা করায় উক্ত কন্টেইনারগুলো আটক করা হয়েছে। আটক করা কন্টেইনার থেকে বিপুল পরিমাণ সিগারেট, এলইডি টেলিভিশন, ফটোকপির মেশিন ও মদ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে পল্টন মডেল থানায়  ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন (মামলা নম্বর-৫০, ২০১২ এর ধারা ৪ এবং ৮) অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়।

এরপর অনুসন্ধান করে দেখা যায়, আমদানি করা ৬টি কন্টেইনারে মালামাল আটকের পূর্বেই হেনান আনহুই এগ্রো এলসি ৩২টি এবং এগ্রো বিডি ৪৬টি কন্টেইনার পন্য মেশিনারিজ ঘোষণায় ১৫টি এলসির বিপরীতে পণ্য খালাস নিয়েছে। যেহেতু আমদানিকারক মেসার্স হেনান ও এগ্রো বিডি নামীয় দুটি অস্তিত্বহীন এবং এ দফতরে দায়ের করা মামলায় আটক পণ্যের অনুরুপ প্রক্রিয়ায় একই রফতানি কারক, কান্ট্রি অব অরিজিন, সিএন্ডএফ এজেন্ট এবং ব্যাংকের মাধ্যমে আমদানি করা সেহেতু এটা প্রমাণ করে যে, আলোচ্য ১৫টি বিল অব কান্ট্রি এবং ১৫টি এলসি'র মাধ্যমে অর্থ পাচার, অবমূল্যায়ন ও শুল্ক ফাঁকির মাধ্যমে লাভমান হওয়ার উদ্দেশ্য সেগুলো আমদানি করা হয়েছে।

এতে মেসার্স হেনান আনহুই এগ্রো এলসির ৬টি বিল অব এন্ট্রির ৪৩৯ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৪৯৯ টাকা এবং মেসার্স এগ্রো বিডি এন্ড জেপির ৯টি বিল অব এট্রির ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮৮৩ টাকা পাচার করেছে। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর