দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে হাজারো ঘরবাড়ি, গাছপালা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপকূলবাসীরা। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি এবং বাতাসে রোপা আমন ধানসহ শীতকালীন ফসলের চরম ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজারগুলোতেও। একইসঙ্গে সবজির পাশাপাশি মাছের বাজারও চড়া।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রায়েরবাজার ও জিগাতলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারের খুচরা ও আড়তগুলোতে একদিকে পণ্য সংকট অপরদিকে ক্রেতাদের ব্যাপক চাহিদা। ফলে সবজি ও মাছের দাম চড়া। হাতে গোনা দু-একটা শীতের সবজি বাদ দিলে প্রায় প্রত্যেকটি সবজি প্রতি কেজি ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তি দোমে বিক্রি হচ্ছে।
মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস (আনাম) ১২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪৫ টাকা, ফুল কপি ও বাঁধা কপি প্রতি পিস ৩৫ টাকা। প্রতি কেজি লতি ৫০ টাকা, নতুন আলু ৮০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, শিম ৮০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা, কচুর মুখী ৭০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা এবং বরবটি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দোকানি রনি জানান, গত রোববার থেকে শসা ও ধনিয়া পাতার দাম সব থেকে বাড়তি।
সবজির পর সব থেকে বেশি বাজার চড়া হয়েছে মাছের। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে গত দু’দিন থেকে আড়তে মাছের আমদানি কম হওয়ায় প্রায় সব মাছে কেজি প্রতি ২০-৫০ টাকা বাড়তি দাম রাখা হচ্ছে।
প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা, কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, পাবদা ৪৮০ টাকা, শৈল ৫০০ টাকা, ট্যাংড়া ৬৫০, লইট্টা ১৮০ টাকা, ছোট আইড় ৬৮০ টাকা, বাগদা চিংড়ি বড় ৫৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি বড় ৭০০ টাকা, কোরাল ৬০০ টাকা, পোয়া ৩৫০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ৯৫০ টাকা এবং ইলিশ (বড় সাইজের) ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্র হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচামালের আড়তদার ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো থেকে কাঁচামাল ঢাকায় আসতে পারেনি তাই এমন দাম বৃদ্ধি। এখন আবহাওয়া ভালো, আজকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো থেকে কাঁচামাল আসলে দাম সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। আগামী মঙ্গলবারের (১২ নভেম্বর) মধ্যে বাজার স্থিতিশীল হবে। তবে বেশ কিছু অঞ্চল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে ওইসব এলাকা থেকে যেসব কাঁচামাল ঢাকায় আসত সে সবের দাম কিছুদিন বাড়তি থাকবে।
এদিকে, মাংসের বাজারে দাম পূর্বের মতোই রয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০-৫৫০ টাক, খাসির মাংস ৭০০ টাকা ও বখরির মাংস ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা কেজি দরে।