দেশকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কর দিতে হবে: অর্থমন্ত্রী

বিবিধ, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম | 2023-09-01 00:48:57

দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সবাইকে কর দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদেরকে কর দিতে হবে। সরকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে-তথা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আয়কর আদায় করে। তাই পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে দেশের সার্বিক কল্যাণে আয়কর দিতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে আয়কর মেলা-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এবং সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া মানুষদের অবশ্যই অর্থনীতির মূল ধারায় নিয়ে আসতে হবে। আর সে জন্য প্রয়োজন অর্থের। আয়করের মাধ্যমে সেই অর্থ জোগাড় করা হয়। আয় কর প্রদানের মাধ্যমে আমাদের ধর্মীয় দায়িত্বও পালিত হয়। কেননা আমাদের আয়ে রয়েছে পিছিয়ে পড়া মানুষের অধিকার। কর প্রদানের মাধ্যমে আমাদের সে দায়িত্বও পালিত হয়। তাই সুখী সমৃদ্ধ দেশ গড়তে অবশ্যই আমারা সকলে কর প্রদান করব।’

আরও পড়ুন: মেলায় রিটার্ন জমা দিলেন প্রধানমন্ত্রী

‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এই স্লোগানে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে শুরু সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন। কর সেবা প্রদান ও কর সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছরের মতো এবারও এই মেলার আয়োজন করেছে এনবিআর। সকালে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। রাজধানী ঢাকার পাশাপাশি বিভাগীয় শহরেও সপ্তাহব্যাপী এ মেলা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সাবেক আয়কর কমিশনার ছিদ্দিক আয়কর বিবরণী জমা দেন

মেলা উদ্বোধনের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ২০১৮-১৯ অর্থবছরের আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সাবেক অর্থ সচিব সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী এই রিটার্ন দাখিল করেন। এর পরেই কর প্রদান করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

অর্থমন্ত্রী করের তথ্য প্রকাশ করে বলেন, ‘এবার আমার করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এরমধ্যে আয়কর দিয়েছি ৯১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। প্রকৃত সম্পদ ৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকা।’

এ সময় স্ত্রী ও দুই মেয়ের করযোগ্য আয়, সম্পদের পরিমাণ ও কর পরিশোধের তথ্যও তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রীর করযোগ্য আয়ের পরিমাণ ২ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তিনি কর দিয়েছেন ৭১ লাখ ২৯ হাজার টাকা। আমার স্ত্রীর সম্পদের পরিমাণ ৫০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আমার বড় মেয়ের করযোগ্য আয় ৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা। তিনি কর দিয়েছেন ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা। তার সম্পদের পরিমাণ ৪১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আর আমার ছোট মেয়ের করযোগ্য আয় ৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এতে সে কর দিয়েছে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা। তার সম্পদ ৬১ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর