আরও ৩৩ পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর জিজ্ঞাসাবাদ মঙ্গলবার

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা | 2023-08-25 19:57:22

পেঁয়াজ মজুদ করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির বিষয়ে সোমবার (২৫ নভেম্বর) ১৪ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আরও ৩৩ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের তলব করা হয়েছে। তারা মঙ্গলবার সকাল ১০টা খেকে রাজধানীর কাকরাইলের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে এসে গত তিন মাসের পেঁয়াজ আমদানির তথ্য জানাবেন।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কাছে সংবাদ রয়েছে যে প্রতিষ্ঠানগুলো বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির উদ্দেশে আমদানিকৃত পেঁয়াজ অবৈধভাবে মজুদ করেছে। এছাড়া মানিলন্ডারিংও করছে এসব প্রতিষ্ঠান।

এ অভেযোগের প্রেক্ষিতে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শামীমা আক্তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানকে তলব করা হয়। প্রথমদিন সোমবার ১৪টি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা এসে তাদের আমদানিকৃত পেঁয়াজের মজুদ এবং বিক্রির তথ্য তুলে ধরেন। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-নবাবগঞ্জের মেসার্স টিএম এন্টারপ্রাইজ, একতা শস্যভাণ্ডার ও মেসার্স বিএইচ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, থানা রোডের মেসার্স দীপা এন্টারপ্রাইজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স আরএম অ্যাগ্রো, আলি রাইস মিল, মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স নূর এন্টারপ্রাইজ, নওগাঁর জগদিশ চন্দ্র রায়, রাজশাহীর মেসার্স ফুল মোহাম্মদ ট্রেডার্স, সাতক্ষীরার মেসার্স ফারাহ ইন্টারন্যাশনাল, বগুড়ার মেসার্স সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ, তালপট্টির হামিদ এন্টারপ্রাইজ ও হিলির খান টেডার্স।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আব্দুল আওয়াল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বশেষ তিন মাসের আমদানির তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে, আমরা আমাদের কাছে থাকা তথ্য জানিয়েছি। তারা আমাদের কাছে পেঁয়াজ মজুদ আছে কি না, বেশি দামে বিক্রি করেছি কি না, তা জানতে চেয়েছেন। আমরা তার ব্যাখ্যা দিয়েছি।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, গত আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বড় আমদানিকারক ৪৭ প্রতিষ্ঠানকে (প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে ১০ হাজার মেট্রিকটন পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি করেছে) ডেকেছি। প্রতিষ্ঠানগুলো কি পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করেছে, কি দামে কোথায় কোথায় বিক্রি করেছে, এখন কত মেট্রিকটন মজুদ আছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন টিম তাদের বক্তব্য শুনেছে। আগামীকালও বক্তব্য নেওয়ার পর আমরা বুঝতে পারব, তারা বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন কি না, কোথায় কোথায় বিক্রি করেছেন এবং তাদের কাছে কী পরিমাণ পেঁয়াজ মজুদ আছে।

আলি রাইস মিল, এসএম কর্পোরেশন, মেসার্স গোল্ডেন এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রায়হান এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স সোহা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মরিয়াম এন্টারপ্রাইজ, নুর এন্টারপ্রাইজ, শামিম এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স এমআর ট্রেডার্স, ডিএ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স টাটা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজ, আরডি এন্টারপ্রাইজ, জনী এন্টারপ্রাইজ, মাহি অ্যান্ড ব্রাদার্স, মেসার্স মুক্তা এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রায়হান ট্রেডার্স, মেসার্স সাইফুল এন্টারপ্রাইজ, রিজু-রিতু এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স জাবেদ অ্যান্ড ব্রাদার্স, মেসার্স আলম অ্যান্ড সন্স, নিউ বড়বাজার শপিং মল, মেসার্স রচনা ট্রেডার্স, এসএস ট্রেডিং ছোট হাজি মার্কেট, মেসার্স ব্রাদার্স ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, আল মদিনা স্টোর, লামাবাজার ও আলিফ এন্টারপ্রাইজসহ ৩৩ প্রতিষ্ঠানের মালিকদের মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত তিন মাসে ৩৩২ প্রতিষ্ঠান অন্তত ১৬৭ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানি করেছে। এর মধ্যে এ ৪৭টি প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে ১ লাখ ৪ হাজার ৫৫৮ মেট্রিকটন পেঁয়াজ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর