তিন দিনব্যাপী 'সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ-২০১৯' মেলার শেষ দিন শনিবার (৭ ডিসেম্বর)। এদিন সকাল থেকেই সাড়া ছিলো দর্শনার্থীদের। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় আয়োজিত এই মেলায় ক্রেতা সমাগমও ছিল অন্যান্য দিনের থেকে বেশি।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া মেলার শেষ দিনে ক্রেতাদের অর্ডারও ছিল বেশি। ফলে মেলায় ক্রেতা এবং সিরামিক কোম্পানির কর্মকর্তাদের হাসি মুখে দেখা যায়।
মেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্কাউট সদস্য রবিন হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত দুদিনের চেয়ে আজ সকাল থেকেই লোকজন বেশি। ছুটির দিন হওয়ার অনেকে ঘুরে দেখতেও এসেছেন।
সোলার সিরামিকস এসপিএ’র কর্মকর্তা রুম্মান আনোয়ার বলেন, মেলায় সকাল থেকেই কাস্টমারদের উপস্থিতি বেশ ভালো। তিনদিনের মধ্যে আজকে সকালে লোকজন উপস্থিতি ছিল বেশি।
তিনি আরও বলেন, গতবার আইসিসিবির একটি হলে মেলা হয়েছিলো। এবার চারটি হলে মেলা হচ্ছে। ফলে লোকজন কম দেখা যায়। তবে বাস্তব চিত্র হলো গতবারের চেয়ে কাস্টমারদের সাড়া বেশি পড়েছে এবার। আশা করছি বিকেলে আরও বাড়বে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ) আয়োজিত মেলায় ওমেন বাংলাদেশের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় একই ছাদের নিচে দেশি কোম্পানির পাশাপাশি ২০ দেশের ১৫০টি ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া ৩০০ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ৫০০ জন বায়ার্স হোস্ট অংশ নিয়েছে।
বিসিএমইএর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, মেলায় বাজারজাতকরণের পাশাপাশি ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে আহ্বান করা হচ্ছে। মেলার শুরুর দুদিনে গত বছরের চেয়ে বেশি লোক এসেছে। এবার আশা করছি গত বছরের দেড়গুণ বাড়বে।
তিনি বলেন , গত ১০ বছরে সিরামিক খাতের উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ৫০টিরও বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে। এ শিল্পে প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এ খাতের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫ লাখ মানুষ জড়িত আছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এরফান উদ্দিন বলেন, উন্নত, গুণগতমান ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের কদর বাড়ছে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি হচ্ছে।
সিরামিক এক্সপো দেশের দ্বিতীয় ও সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী। এখানে প্রস্তুতকারক, রফতানিকারক ও সরবারহকারীরা তাদের নতুন পণ্য, আধুনিক প্রযুক্তি এবং নিজেদের দক্ষতা বিশ্বব্যাপী তুলে ধরছেন।