প্লাস্টিক রফতানি কমেছে ১৫৫ কোটি টাকা!

, অর্থনীতি

ঊর্মি মাহবুব, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-23 23:36:18

 

ঢাকা: ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্লাস্টিকজাত পণ্যের রফতানি আয় কমেছে। ইপিবির (বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো) তথ্য অনুযায়ী গত অর্থ বছরের তুলনায় এবছর প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি আয় কমেছে ১৫৫ কোটি টাকা। শর্ত সাপেক্ষে সরকারের সুবিধা প্রদান ও প্লাস্টিক স্ক্রাব রপ্তানি কমায় মূলত এই দুইটি কারণে এই রফতানি কমেছে বলে মনে করছেন প্লাস্টিক পণ্যের রফতানিকারকরা।

ইপিবি সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্লাস্টিকজাত পণ্যের রফতানি আয় হয়েছে ৯৮ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার যা আগের অর্থ বছরে ছিল ১১৬ দশমিক ৯৫ মিলিয়ন ডলার। এক বছরে এই খাতে রফতানি আয় কমেছে ১৮ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার যা টাকার মূল্যে প্রায় ১৫৫ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের তুলনায় প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি কমেছে ১৫দশমিক ৭৯ শতাংশ। অন্যদিকে, অর্থবছরের শুরুতে যে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ হয়েছিল তার ৩৩ দশমিক ৪৬ শতাংশই অর্জন করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট খাতটি। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্লাস্টিকজাত পণ্যের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৮ মিলিয়ন ডলার।

কিন্তু কী কারণে প্লাস্টিক পণ্যের  রফতানি আয় ১৫৫ কোটি টাকা কমলো তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা চলছে ইপিবি ও প্লাস্টিক পণ্যের বাজারে। বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) পরিচালকদের মতে, মূলত দুই কারণে কমেছে এই পণ্যের রফতানি।

বিপিজিএমইএ এর সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকার থেকে বারবার রফতানি পণ্য ডাইভারসিফাইড এর কথা বলছে। কিন্তু সে বিষয়ে সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে না। সরকার থেকে আমাদের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে কিন্তু সেখানে আমাদের নানা শর্ত জুড়ে দিয়েছে। যেসব প্লাস্টিক রফতানিকদের বন্ড লাইসেন্স আছে, যাদের ইপিজেডে কারখানা আছে তারা প্রণোদনা পাচ্ছে না। অন্যদিকে প্লাস্টিক স্ক্রাব রফতানি কমেছে ৫২ শতাংশ। এই দুই কারণেই কমেছে প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি আয়।

পোশাক রফতানিকারকরা আয়কর ১২ শতাংশ দিলেও প্লাস্টিক পণ্যের রফতানিকারকদের দিতে হয় ৩৯ শতাংশ যা অসম বলে মনে করছেন মো: জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আশা করছি সরকার থেকে আমাদের এসব বাধার দিকে নজর দেয়া হবে। তবেই এই খাতে রফতানি আয় বাড়ানো সম্ভব হবে।

তবে এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ ইপিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিজয় ভট্টাচার্য। নাম না প্রকাশ করা শর্তে ইপিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যবসায়ীদের দায় সবচেয়ে বেশি। প্লাস্টিক শিল্পের ব্যবসায়ীরা মূলত পোশাক শিল্পের প্রায় সকল সুযোগ সুবিধাদাবি করছেন। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি করছেন তারা নিজেরাই। যার কারণেই এই রফতানি কমে এসেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের মোট রফতানির লক্ষমাত্রা ছিল ৩৭ হাজার ৫শ মিলিয়ন ডলার। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৩৬ হাজার ৬৬৮ মিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে ২ দশমিক ২৪ শতাংশ লক্ষমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। তবে গত অর্থবছরের তুলনায় মোট রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরেদেশের মোট রফতানি আয় ছিল ৩৪ হাজার ৬৫৫ মিলিয়ন ডলার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর