সেন্টমার্টিনের দূষণ রোধে কাজ করছে কোকা-কোলা

বিবিধ, অর্থনীতি

নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-22 12:22:01

সমুদ্র ও জলপথকে পরিচ্ছন্ন এবং দূষণমুক্ত রাখতে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে কোকা-কোলা। এরই ধারাবাহিকতায় ৯ম বারের মতো সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতে কেওক্রাডং বাংলাদেশ ও কোকা-কোলা বাংলাদেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং গণ-সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে কোকা-কোলার ‘বর্জ্য মুক্ত বিশ্ব’ প্রতিষ্ঠার বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এই আয়োজন করা হয়েছে। এবারের পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশগ্রহণকারী নানান শ্রেণি-পেশার ৫৫০ জন স্বেচ্ছাসেবী সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত থেকে প্রায় ১,০০০ কিলোগ্রাম (কেজি) আবর্জনা সংগ্রহ করেছে।

বিশ্বব্যাপী পার্টনারশিপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে ‘ওশান কনজারভেন্সি’র কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর কেওক্রাডং বাংলাদেশের সাথে গত ৮ বছর ধরে যৌথভাবে এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও গণসচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে কোকা-কোলা বাংলাদেশ। এই ৮ বছরে সেন্টমার্টিন কোরাল দ্বীপ থেকে তারা প্রায় ৯,৫০০ কেজি সামুদ্রিক আবর্জনা পরিষ্কার করেছে, এতে সব মিলিয়ে অংশ নিয়েছে সারা দেশের প্রায় ৩,৭০০ জন স্বেচ্ছাসেবী।

৩৩তম ইন্টারন্যাশনাল কোস্টাল ক্লিনআপ উপলক্ষে গত ১৩ই ডিসেম্বর বাংলাদেশের একমাত্র কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দিনব্যাপী এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সমুদ্রের পানিকে দূষণমুক্ত করার জন্য যথোপযুক্ত পদ্ধতি অবলম্বন এবং যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলাসহ পরিবেশের বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ
মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে সমুদ্র দূষণ রোধে কাজ করাই এই কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য।

দু’দিন ব্যাপী চলা কার্যক্রমের প্রথমদিনে স্বেচ্ছাসেবীরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে আবর্জনা সংগ্রহ করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে জড়ো করে। স্বেচ্ছাসেবীদের মূল লক্ষ্য ছিল অপচনশীল আবর্জনা সংগ্রহ করা, যার মধ্যে রয়েছে সিগারেটের ফিল্টার, চিপসের প্যাকেট, প্লাস্টিক ইত্যাদি। সংগৃহীত আবজর্নাসমূহের তথ্য ওশান কনজারভেন্সির ট্র্যাশ ডাটাবেসে আপলোড করা হয়।

পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান, কোস্টগার্ড কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন নিয়াজ আহমেদ এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওয়াকার আহমেদ এতে অংশ নেন।

ফেলে দেয়া আর্বজনা-ই সমুদ্র দূষণের মূল কারণ। তাই স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটকসহ সর্ব সাধারণকে সচেতন করার মাধ্যমেই এই দূষণ প্রতিরোধ করা সম্ভব। আর সে জন্যই এই কার্যক্রমে স্থানীয়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি অন্যান্য যেসব স্বেচ্ছাসেবীরা এই পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন, তারাও তাদের পরিচিত জনদের মধ্যে সমুদ্র দূষণের বিষয়ে সচেতন করবেন বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।

এ সম্পর্কিত আরও খবর