ওজন ও পরিমাপে কারচুপির অপরাধে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলার ৬টি পেট্রোল পাম্পসহ ৮ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর বিএসটিআই’র উদ্যোগে গাজীপুর জেলা সদরে ভ্রাম্যমাণ আদালত গিয়ে দেখতে পায় মেসার্স দিদার ফিলিং স্টেশন তেল পরিমাপে ২টি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ৫ লিটারে ৭০ ও ৬০ মিলিলিটার জ্বালানি তেল কম প্রদান করছে। শুধু তাই নয়, সীলবিহীন অবস্থায় ডিসপেন্সিং ইউনিট ব্যবহার করছে। তাই প্রতিষ্ঠানটি হতে আদালত ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে। একইসঙ্গে আদায়ও করেছে।
একইদিন মেসার্স এস.এস ফিলিং স্টেশন তেল পরিমাপে ২টি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে প্রতি ৫ লিটারে ৩৬০ ও ২২০ মিলি লিটার এবং ১টি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে ৫ লিটারে ৫২০ মিলি লিটার জ্বালানি তেল কম দেয়। তাই প্রতিষ্ঠানটিকে আদালত ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান দুইটির ক্রটিপূর্ণ ডিসপেন্সিং ইউনিটগুলোর সাহায্যে জ্বালানি তেল বিক্রয় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স টিম ২১ ডিসেম্বর টাঙ্গাইল জেলার কাটরায় গিয়ে দেখতে পায়, যে মেসার্স লৌহজং ফিলিং স্টেশন তেল পরিমাপে প্রতি ১০ লিটারে ২টি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে ৪০০ ও ৩৭০ মিলি লিটার এবং ১ টি পেট্রোল ডিসপেন্সিং ইউনিটে ২৮০ মিলি লিটার কম দিচ্ছে।
গাজীপুর জেলার চন্দ্রা এলাকার মেসার্স মুনস্টার ফিলিং স্টেশন তেল পরিমাপে ২টি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে ৪১০ ও ১৫০ মিলি লিটার, ১ টি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে ৪৬০ মিলি লিটার ও ১টি পেট্রোল ডিসপেন্সিং ইউনিটে ৪৩০ মিলি লিটার জ্বালানি তেল কম দিয়েছে।তাই প্রতিষ্ঠান দুইটির বিরুদ্ধে বিএসটিআই কর্তৃক সংশ্লিষ্ট আদালতে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরপরদিন অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর গাজীপুর এলাকার মেসার্স ভূমি সিএনজি এন্ড ফিলিং স্টেশন তেল পরিমাপে ১০ লিটারে ১টি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে ৮৭০ মিলি লিটার তেল কম দেয়া প্রমাণ পায়। তাই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
একই অভিযানে টাঙ্গাইল জেলার বোয়ালী এলাকার মেসার্স সখিপুর ফিলিং স্টেশন তেল পরিমাপে প্রতি ১০ লিটারে ২টি ডিজেল ডিসপেন্সিং ইউনিটে যথাক্রমে ১৪০ ও ৪০ মিলি লিটার কম দেয়ার প্রমাণ পায়। অন্যদিকে ১টি অকটেন ডিসপেন্সিং ইউনিটে ৩০০ মিলি লিটার ও ১টি পেট্রোল ডিসপেন্সিং ইউনিটে ২৫০ মিলি লিটার কম দেয়ার পাশাপাশি ইউনিটগুলো সীলবিহীন অবস্থায় ব্যবহার করায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
কচুয়া বাজার এলাকার মেসার্স জাহিদ ট্রেডার্সে ৫ লিটারে জ্বালানি তেল পরিমাপ করে ২০০ মিলি লিটার কম পাওয়ায় এবং মেসার্স এম. আলম ট্রেডার্স ভেরিফিকেশন সনদ গ্রহণ ব্যতীত ৫০০ কেজি ধারণ ক্ষমতার একটি প্লাটফর্ম স্কেল ব্যবহার করায় ‘ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন-২০১৮’ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে পরিদর্শক লিয়াকত হোসেন এবং বিএসটিআই’র সার্ভিল্যান্স অভিযানে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মোন্নাফ হোসেনের নেতৃত্বে পরিদর্শক লিয়াকত হোসেন ও বিল্লাল হোসেন অংশগ্রহণ করেন।