রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেছেন, 'অতি সম্প্রতি কিছু মিডিয়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যে রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এসব খবর সম্পূর্ণ অমূলক ও ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের গ্রাহকদের আস্থা প্রভাবিত করার জন্য এসব খবর ছড়িয়েছে'।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের পক্ষে সিইও ইমরান আসিফ এসব কথা জানান।
রিজেন্টের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, '২০২০ সালে রিজেন্টের ১০ বছর পূর্তি হতে যাচ্ছে এবং ২০২০ সালে আমাদের সামনে একটি সুস্পষ্ট ভিশন রয়েছে বরাবরের মতো নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য এবং সর্বাধিক পছন্দনীয় বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করা'।
আসিফ ইমরান বলেন, '২০২০ সালের রিজেন্ট আরো চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজের ডেলিভারি পাওয়ার কথা রয়েছে। নতুন উড়োজাহাজগুলো যুক্ত হলে এ জাতীয় আটটি উড়োজাহাজের একটি আধুনিক বহর নিয়ে নিজস্ব নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ হবে। পাশাপাশি বর্তমান গন্তব্যগুলোতে উড্ডয়ন সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রিজেন্টের'।
তিনি বলেন, 'খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এভিয়েশন খাতে প্রথম ওয়াই-ফাইভিত্তিক ইনফ্লাইট বিনোদন ব্যবস্থা প্রবর্তন করতে যাচ্ছে রিজেন্ট। এর ফলে যাত্রীরা তাদের ব্যক্তিগত নোটবুক, ট্যাবলেট বা মোবাইল ফোনে ওয়াই-ফাই এর মাধ্যমে সরাসরি বিভিন্ন মাল্টিমিডিয়া প্রোগ্রাম উপভোগ করার সুযোগ পাবেন'।
নিরাপত্তা বিষয়ে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, 'আমাদের কাছে এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং কোন অবস্থাতে আমরা এই বিষয়টিতে কোনো ছাড় দিতে রাজি নই। নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতার বিষয়ে কোনো ঝুঁকি অনুমান করার সাথে সাথেই আমরা উড়োজাহাজটিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্রাউন্ড করতে দ্বিধা করিনি। তাছাড়া আজ পর্যন্ত নিরাপত্তাসংক্রান্ত বড় কোনো অঘটন এবং যাত্রী ও উড়োজাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কোনও দুর্ঘটনার রেকর্ড নেই'।
বর্তমান রুট সম্পর্কে তিনি বলেন, 'রিজেন্ট এয়ারওয়েজ বর্তমানে দেশের ভেতরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং দেশের বাইরে কলকাতা, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর মাস্কট এবং দোহায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে'।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, রিজেন্ট এয়ারওয়েজের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা হানিফ জাকারিয়া এবং পরিচালক বিক্রয় ও বিপণন সোহেল মজিদসহ আরো অনেকেই।