রাজধানীর হাতিরঝিলে অবৈধভাবে নির্মিত পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবন ভাঙার জন্য যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করা হয়েছে। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভবনটি ভাঙা হবে।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভবন ভাঙা কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
মেসার্স ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আগামী ছয় মাসের মধ্যে এ কাজটি সম্পন্ন করবে।
সকাল ১০টার পর থেকে এক্সকেভেটর, বুলডোজার, কংক্রিট জ্যাকহামার, দীর্ঘ ও উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ক্রেন, ওয়েল্ডিং মেশিন, ড্রাম ট্রাক এবং গ্যাস কাটারসহ ১০ ধরনের যন্ত্রপাতি প্রস্তুত রাখা হয়েছে এজন্য।
এর আগে কয়েকবার ঘোষণা দিলেও ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করতে দেখা যায়নি।
২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পের ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে এবং রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এর বিরুদ্ধে বিজিএমইএ লিভ টু আপিল করে, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়। পরে ভবন ছাড়তে উচ্চ আদালতের কাছে সময় চায় বিজিএমইএ। প্রথমে ছয় মাস এবং পরে সাত মাস সময় দেওয়া হয়।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে আবার এক বছর সময় বাড়ানো হয়। সে সময় ভবিষ্যতে আর সময় চাইবে না বলে মুচলেকা দেয় বিজিএমইএ। সেই সময় শেষ হয় গত বছরের ১২ এপ্রিল। এরপর ১৬ এপ্রিল বিজিএমইএ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় রাজউক। ভবনটি ভাঙার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। প্রথম দর দাতা অপারগতা প্রকাশ করলে ভবনটি ভাঙার কাজ থমকে যায়। এরপর দ্বিতীয় দর দাতাও শর্ত ভঙ্গের অভিযোগ করে আসছিল। এরই মধ্যে ভবনটি ভাঙার কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিলেন মন্ত্রী।