চলতি অর্থ বছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণ হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৭ হাজার ৪৯৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা কম।
এই সাত মাসে এনবিআরে টার্গেট ছিলো ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকার। মঙ্গলবার (৩ মার্চ) এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ঘাটতি টাকার মধ্যে আমদানি-রফতানি খাত থেকে রাজস্ব আহরণে ঘাটতি ১৫ হাজার ৮২৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ১২ হাজার ২১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং আয়কর-ভ্রমণ কর ৯ হাজার ৬৪৯ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ঘাটতি হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, শুধু জানুয়ারি মাসে ছয় হাজার ৮৬২ কোটি ৮৬ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি দুই হাজার ৭৩৯ কোটি ২০ লাখ টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে শুল্ক খাতে। আর আয়কর খাতে দুই হাজার ২৬০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং ভ্যাট খাতে এক হাজার ৮৬২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
ফলে সব মিলে সাত মাস শেষে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার কোটি টাকা। প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি ১৪ দশমিক ৭০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে আয়কর খাতে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম দিকে রাজস্ব ঘাটতির জন্য নতুন ভ্যাট আইনকে দায়ী করা হয়। কিন্তু দিন যত যাচ্ছে ভ্যাট আহরণের ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে। তবে সবচেয়ে পিছিয়ে কাস্টমস। মাইনাসের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১ দশমিক ০৪ শতাংশ। দেশে আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলেও কাস্টমসের আহরণ কমে যাওয়া রীতিমতো বিস্ময়কর মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।