যমুনা ব্যাংক লিমিটেডকে শরিয়াহ অর্থাৎ ইসলামি ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরিত করার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ব্যাংকটির আবেদনের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) ৪০৩তম বোর্ড সভায় এ অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
এর আগের বোর্ড সভায় আরও দুটি ব্যাংককে পূর্ণাঙ্গ ইসলামি ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেওয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নিয়ে বাংলাদেশে ইসলামি ধারার ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১টিতে। নতুন যুক্ত হওয়া তিন ব্যাংক বিশেষ কিছু সুবিধা পাওয়ার জন্যই ইসলামি ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছে।
একই সভায় প্রস্তাবিত স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের অনুকূলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইন ১৯৯৩ এর আওতায় অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনার জন্য লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়াও প্রস্তাবিত সিটিজেন ব্যাংক লিমিটেডের অনুকূলে ইস্যুকৃত লেটার অফ ইন্টেন্ট এর শর্তাবলী পূরণের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। সবাই বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সার্বিক চিত্র পাওয়ার পয়েন্ট আকারে উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত আটটি ব্যাংক শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক (এক্সিম) লিমিটেড, আল-আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামি ব্যাংক লিমিটেড, শাহ্জালাল ইসলামি ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড।
এসব ব্যাংকের শাখার সংখ্যা এক হাজার ২২১টি, যেখানে দেশের গোটা ব্যাংক খাতে শাখার সংখ্যা ১০ হাজার ৪০৬টি। এছাড়া ৯টি প্রথাগত ব্যাংকের ১৯টি শাখা এবং আটটি প্রথাগত ব্যাংকের ৬১টি ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডো দেশে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
দেশের পুরো ব্যাংক খাতের আমানত ও বিনিয়োগ উভয় দিক দিয়েই এক-চতুর্থাংশ শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর দখলে। গত ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট আমানতের স্থিতি ছিল ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সংগৃহীত আমানতের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার ২২৮ কোটি টাকা, যা মোট আমানতের প্রায় ২৪ শতাংশ।