আসছে বাজেটে আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ চায় বিসিএমইএ

ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-15 11:04:14

কাঁচামাল আমদানিতে ৫ শতাংশ উৎসে কর আরোপ এবং সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে সিরামিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর সেগুন বাগিচার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে এ দাবি জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।

এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় এনবিআরের সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিসিএমইএর সাধারণ সম্পাদক ইরফান উদ্দিন বলেন, ‘সিরামিক খাতকে কোনো কর ছাড় দেওয়া হয় না। আগামী পাঁচ বছর কর অবকাশ সুবিধা চাই।’

সংগঠনের পক্ষ থেকে সিরাজুল ইসলাম বলেন, সম্ভাবনাময় সিরামিক খাতে বর্তমানে ৬৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এ খাতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের সঙ্গে বাড়ছে কর্মসংস্থান। এতে বাজার চাহিদা প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকারও বেশি। আর স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি পণ্য। বিনিয়োগ বাড়লেও প্রযুক্তি, যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল সবই আমদানি করতে হয়। এ জন্য স্থানীয় ও বিশ্ববাজার সম্প্রসারণে আসছে বাজেটে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ককর ছাড়, দেশীয় টাইলস উৎপাদন পর্যায়ে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার, নতুন মূসক আইনের কিছু বিধান সংশোধনসহ ১৭ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’

কর অবকাশ সুবিধা চেয়ে বলা হয়েছে, সিরামিক টাইলস এখন আর বিলাসী পণ্য নয়। ভবন নির্মাণের অন্যতম উপকরণ হিসেবে এ পণ্য স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ তৈরিতে ভূমিকা রাখে। সেজন্য স্থানীয় সিরামিক টাইলস উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করছি। এ খাতে ব্যবহৃত কাঁচামালের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই খনিজ কাঁচামাল। এসব উপকরণে বিপুল আদ্রতা বা ময়েশ্চার থাকে। অপচয় হওয়াসহ তৈরি পণ্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত প্রসেস লস হয়। অথচ আমদানিতে শতভাগ পণ্যের ওপরই সব ধরনের শুল্ককর পরিশোধ করতে হয়। পণ্য উৎপাদনে সর্বাধিক ১০ শতাংশ অপচয় মঞ্জুকরা হয়। প্রকৃত প্রসেস লসকে ওয়েস্টেজ হিসেবে মঞ্জুরের সুপারিশ করছি।

এছাড়া দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় কাঁচামাল আমদানিতে ময়েশ্চার সমন্বয়, কাঁচামাল ও উপকরণের ওপর হতে আমদানি শুল্ক কমানো, আন্ডার ইনভয়েসিংজনিত কারণে শুল্ক ফাঁকি রোধে ন্যূনতম ট্যারিফ মূল্য হালনাগাদ করা, বিদেশ থেকে তৈরি সিরামিক পণ্যের আমদানি পর্যায়ে শুল্ককর হার সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশিয় শিল্পের প্রতিরক্ষণ নিশ্চিত করা এবং ভ্যাট আইনে নির্দেশনা-সংক্রান্ত কতিপয় বিধান সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়।

কাঁচামাল ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ দেশগুলোর সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ও রফতানি বাজারে অসম বাণিজ্য প্রতিযোগিতা থেকে দেশিয় সিরামিক শিল্পকে প্রতিরক্ষণ এবং এর প্রসারে সহায়তায় এসব প্রস্তাব বিবেচনার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিসিএমইএর সহসভাপতি সামসুল হক বলেন, ‘শ্রমঘন সিরামিক খাতের যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি ও কাঁচামাল আমদানি করতে হয়। এর অধিকাংশই প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ। আমদানি করা কাঁচামাল আর প্রযুক্তি দিয়ে পণ্য তৈরি করে বিক্রির মাধ্যমে কাঁচামাল ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর সঙ্গেই স্থানীয় এবং বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় এ খাতকে টিকে থাকতে হচ্ছে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর