প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দুই ধরনের ক্ষতিতে পড়বে বাংলাদেশ। এর মধ্যে একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আর একটি হচ্ছে অর্থনৈতিক ক্ষতি।
স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণে দেশের জিডিপিতে অবদান রাখতে পারবেন না সাধারণ মানুষ। আর স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কলকারখানা এবং পরিবহন সেক্টর বন্ধ থাকায় দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বলে শঙ্কা জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারোনার প্রভাবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমবে ১ দশমিক ১০ শতাংশ। অর্থাৎ ৩ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। আর এই সময়ে প্রায় ৯ লাখ লোক চাকরি হারাতে পারে। কারণ দেশের আমদানি-রফতানি এখন সম্পূর্ণ স্থবির।
করোনার প্রভাব বাংলাদেশের পাঁচটি খাতে সবচেয়ে বেশি পড়বে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবা খাতে। এই খাতে ১১৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। এ ছাড়া কৃষি খাতে ৬৩ কোটি ডলারের ক্ষতি হবে। এ ছাড়া হোটেল, রেস্তোরাঁ ও এ-সংক্রান্ত সেবা খাতে প্রায় ৫১ কোটি ডলার, উৎপাদন ও নির্মাণ খাতে প্রায় ৪০ কোটি ডলার এবং পরিবহন খাতে সাড়ে ৩৩ কোটি ডলার ক্ষতি হবে। সব মিলিয়ে এক বছরে ৩০২ কোটি ডলারের ক্ষতি হবে বলে আশঙ্কা করছে এডিবি।
তার কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি করা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কানাডা এবং চীনসহ প্রায় সবগুলোর দেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি স্থগিত রয়েছে। গত দুই মাস ধরে পোশাক খাতের সেল বাই অডার আসেছ না। চামড়া খাতেও এই অবস্থা বিরাজ করছে।