পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনায় বিশেষ কায়দায় বড় দরপতন থামানো হলেও পতন থামছে না। বরং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট আরও বাড়ছে। একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তারল্য সংকটও।
ফলে নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার (২২মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে মাত্র ১৪৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল পুরোদিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিলো ১৪৫ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা প্রায় সাত বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। তবে তার চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিলো ১৯ মার্চ বৃহস্পতিবার। এদিন ৪৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিলো ডিএসইতে। কিন্তু এদিনের লেনদেনের সময় ছিলো মাত্র আধা ঘণ্টা। একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে অপর পুঁবিজাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে লেনদেন শুরু হয়ে চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। দিনভর সূচকের উঠানামা শেষে এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম, কমেছে ২০৯টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম। আর তাতে প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে কম দেখানো হয়েছে ১৪ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট। আর অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক কম দেখানো হয়েছে ২ পয়েন্ট।
এর বৃহস্পতিবার সূচক বাড়ানোর পর রোববার আবার সূচক পতন হলো। এর আগে টানা চারদিন পর সূচক পতন হয়েছিলো। তবে সূচক বেড়েছে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। দিনে সূচক বেড়েছে ২২৪ পয়েন্ট। তবে এটা বাজারে প্রকৃত চিত্র নয় বলে বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ।
তার প্রমাণ মিলে ডিএসইর লেনদেনের চিত্রে। পুরোদিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৪৫ কোটি ৮৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা। অথচ এর আগের আধা ঘণ্টায় লেনদেন হয়েছিলো ৪৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার বেশি।
এদিন অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক ২২৪ পয়েন্ট বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। তাতে দেখানো হয়েছে ১১ হাজার ১৮৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৪৪টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬১ টির কোম্পানির শেয়ারের। আর তাতে লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা।