প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ৭৭১ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে, যার অর্থমূল্য ২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার ইউএস ডলার। পাশাপাশি গত দুদিনে তৈরি পোশাক খাতের সাতটি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ মার্চ) বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম।
তিনি বলেন, বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালিসহ অধিকাংশ দেশে ৮৮০টি কারখানার ৭৭১ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার ইউএস ডলার।
এ কারখানাগুলোতে ১৭ লাখ ৯ হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
আগের দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত নতুন করে ৮৪৩টি কারখানার ৬৯৭ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন পিস অর্ডার বাতিল ও স্থগিত হয়েছিলো, যার অর্থমূল্য ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ইউএস ডলার।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তৈরি হওয়ায় পোশাক খাতের সাতটি কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত এসব কারখানার মালিকরা নিজেরাই বন্ধ করেছেন।
এছাড়া আর্থিক সংকটের কারণে গত ১৪ মাসে (২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) বিজিএমইএ’র সদস্যভুক্ত ১০৬টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
গত বছরের তুলনায় এ বছরের ১৮ মার্চ তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে ৪১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ১৯ মার্চ কমেছে ১২ দশমিক ০২ শতাংশ। আগের বছরের তুলনায় এ বছরের ২০ মার্চ রফতানি কমেছে ৪৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
বিজিএমইএ নেতারা বলছেন, আর্থিক সংকটের কারণে কিছু দিনের মধ্যে অন্তত এক হাজার পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।