করোনা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে আরও এক দিন দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। মার্চ মাসের শেষ লেনদেনের দিন বুধবার (২৫ মার্চ) যথারীতি বিনিয়োগকারী শূন্য ছিল ব্রোকারেজ হাউজগুলো। আর তাতেই ক্রেতা-বিক্রেতা শূন্য ছিল দেশের পুঁজিবাজার।
তবে আইসিবিসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের মার্কেট সার্পোটের ফলে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে। সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও। এর ফলে মঙ্গলবার দরপতনের পর বুধবার পুঁজিবাজারে উত্থান হলো।
ডিএসইর তথ্য মতে, সূচকের নিন্মমুখী প্রবণতায় ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। এরপর সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ার কিনে মার্কেট সার্পোট দেয়। তার কারণ করোনাভাইসারের কারণে (বৃহস্পতিবার থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত) আগামী ১০ দিন লেনদেন বন্ধের আগের দিন যাতে উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়।
ফলে দিনের বাকি লেনদেন হওয়া সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায়। দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএস-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে ৯২০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
তাতে লেনদেন হয়েছে ৩৪৮ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩৯ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার টাকা। বুধবার লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৯৬টির, কমেছে ১৭টির আর অপবির্তিত রয়েছে ২৩৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রধান সূচক ৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ১১ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৫২টির, কমেছে ১০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৭টি কোম্পানির শেয়ারের। তাতে বিনিয়েগকারীদের লেনদেন হয়েছে ১১২ কোটি ৬ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এর আগের দিনে লেনদেন হয়েছিল ৮১ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।